বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদখেলার সময়প্রধানমন্ত্রীকে আর্জেন্টিনার জার্সি উপহার দিলেন মার্টিনেজ

প্রধানমন্ত্রীকে আর্জেন্টিনার জার্সি উপহার দিলেন মার্টিনেজ

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশে সমর্থন ছিল অভাবনীয় যা তারকা ফুটবলারদের নজ এড়াইনি। তখন থেকে মূলত বাংলাদেশের মানুষের প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ জন্মায় আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলারদেরশ। তারপর থেকে বাড়ে দুুই দেশের কূনৈতিক সম্পর্ক।

এদিকে কাতারের মাটিতে ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে যতটা অবদান ছিল লিওনেল মেসির, তার থেকে কিছু কম ছিল না এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। এই গোলরক্ষকের ফাইনালে সেই ১২৩ মিনিটের অবিশ্বাস্য সেইভ এখনো আর্জেন্টাইন ভক্তদের মনে রয়েছে। আলবিসেলস্তেদের ফুটবল ইতিহাসে মার্টিনেজ অমর হয়ে থাকবেন। বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তী এ আর্জেন্টাইন গোল রক্ষক আজ সকালে এসে পৌঁছেছেন ঢাকায়। সাদা-কালো সংমিশ্রণে ডেনিম জ্যাকেট, ভেতরে সাদা টি শার্ট, কালো প্যান্ট আর কাঁধে একই রঙের ব্যাগ নিয়ে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বেরিয়ে আসেন বিমানবন্দর থেকে।

প্লেন থেকে নামার পর থেকেই বিভিন্ন মুহূর্ত নিজের মুঠোফোনে বন্দী করে রাখতে দেখা যায় তাকে। ভিভিআইপি গেট দিয়ে যখন বেরিয়ে আসেন তখনও দেখা যায় নিজের মোবাইলে ছবি বা ভিডিও করছিলেন। বিমানবন্দর থেকে তার গন্তব্য ছিল হোটেল

বাংলাদেশে তার সফরের স্পন্সর করা প্রতিষ্ঠান ফান্ডেড নেক্সট। ফান্ডেড নেক্সট ভেঞ্চারের সিইও সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ এবং চীফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার সৈয়দ আব্দুল্লাহ গালিবের সঙ্গে হোটেলে প্রাণবন্ত সময় কাটাতে দেখা যায় মার্টিনেজকে। এ সময় তার হাতে এক ভক্তের চিঠিও পৌঁছায়। যেখানে মার্টিনেজকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার পছন্দের রং কি? মার্টিনেজ উত্তরে বলেছে, ‘নীল এবং সাদা । ইনস্টাগ্রাম পোষ্টে ঢাকার রাস্তার ছবি দিয়ে মার্টিনেজ ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ।’ সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা ও ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন।

কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে প্রগতি সরণিতে ফান্ডেডনেক্সট’র কার্যালয়ে যাবেন মার্টিনেজ। সেখানে ঘণ্টাখানেক সময় দেবেন। তার আগমন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে। যেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে থাকছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

একদিনের সফরে এসেছেন তিনি। বাংলাদেশ সফর শেষে তিনি যাবেন ভারতে। বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে কলকাতার স্পোর্টস প্রোমোটার শতদ্রু দত্ত ভারতে আনতে যোগাযোগ করলে, সে বাংলাদেশেও আসতে চায় বলে জানায়। এর আগে বাংলাদেশে আসা নিয়ে ২৯ মে তার ফেসবুক পেজ থেকে আসার খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের প্রিয় এ ফুটবলার নিজ দেশে আসলেও তাঁর সাথে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। কেননা এ ধরণের কোনো আয়োজনের ব্যবস্থা রাখেননি আয়োজকরা। তাই আজ ভোরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই মার্তিনেজ সোজা ধরেছেন হোটেলের পথ।

মার্তিনেজের আজকের সফরসূচিতে তাঁর একটি বাণিজ্যিক অফিস পরিদর্শনের কথা রয়েছে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

বাংলাদেশে আসার বিষয়ে অ্যাস্টন ভিলার এই গোলকিপার এর আগে নিজের ফেসবুকে লিখেছিলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আমার ভারতীয় উপমহাদেশ সফর শুরু হচ্ছে ৩ জুলাই। এই সফর শুরু হবে বাংলাদেশ থেকে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ