ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘ঈদ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভালো করে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে চেক করে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদের জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পারবেন।’ এসময় আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বৃষ্টি থেকে বাঁচতে সবাইকে সঙ্গে ছাতা নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারপরও পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেটা অব্যাহত থাকবে। জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকলে সিটিটিসি প্রস্তুত থাকবে। তবে এখন পর্যন্ত জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। আমাদের সিটিটিসি, সাইবার ইউনিট কাজ করছে। কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আগামীকাল ঈদুল আজহা শুরু হতে যাচ্ছে। ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নামাজে অংশগ্রহণ করবেন। যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, বৃষ্টির মধ্যেও নামাজের কোনো সমস্যা হবে না। ঈদ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভালো করে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। তিন স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে চেক করে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। মোট পাঁচ জায়গায় গাড়ি পার্কিং করা যাবে। সেখান থেকে হেঁটে জাতীয় ঈদগাহে আসতে হবে।
ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের মোবাইল টিম বাসা-বাড়ির গার্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। কোনো ধরনের সমস্যা দেখলেই তারা যেন আমাদের অবহিত করেন তা জানানো হয়েছে।’
রাজধানীতে অপরাধীরা অবস্থান করার বিষয়ে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘রাজধানীতে যেসব অপরাধী ছিল তাদের অনেককেই আমরা গ্রেফতার করেছি। যেহেতু আদালত ঈদের ছুটির কারণে বন্ধ রয়েছে, তাই তাদের জামিন পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে যেসব অপরাধী এখনও আছে তাদের বিষয়ে নজরদারি থাকবে।
চেকপোস্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবসময় একই স্থানে দীর্ঘ সময় চেকপোস্ট রাখা হয় না। এটা আমাদের একটি কৌশল। অপরাধীরা যদি জানে সবসময় একই জায়গায় চেকপোস্ট থাকে তাহলে তারা বিকল্প পথ খুঁজবে
