বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদখেলার সময়ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ

ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ

শুরু থেকে শেষ অবধি এই ম্যাচে ছিল বাংলাদেশের একচেটিয়া দাপট। প্রথম ইনিংসের শেষদিকে ২০ রানে পাঁচ উইকেটে হারানোর সময়টা ছাড়া পুরোটাজুড়েই ছিল স্পষ্ট আধিপত্য। মিরপুরের হালকা ঘাসের উইকেটে রাজত্ব করছেন পেসাররা। আর তাতে ঢাকা টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ, আফগানিস্তান অলআউট হয় ১৪৬ রানে। পরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। ৬৬২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানরা।

বাংলাদেশের এই জয়টি রেকর্ড গড়াও। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানে জেতে ইংল্যান্ড। ছয় বছর পর ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর রানের ব্যবধানে তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় জয় এটি। বাংলাদেশেরও রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়।

দুই উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে আফগানিস্তান। বিশাল রান তাড়া করতে নামা দলটির হার ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। বাংলাদেশের বোলাররা কাজটুকু কত দ্রুত করতে পারেন অপেক্ষা ছিল সেটি দেখার।

চতুর্থ দিনে এসে প্রথম উইকেট এনে দেন এবাদত হোসেন। এই পেসারের বলে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান নাসির জামিল। এর আগে ২২ বল খেলে ৬ রান করেন তিনি।

এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন বাহির শাহ। আফগানিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলা এই ব্যাটার একাদশে ছিলেন না। কিন্তু অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদী আগের দিন তাসকিনের বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। তার কনকাশন বদলি হিসেবে নামেন তিনি।

বাহিরের প্রথম টেস্ট ইনিংস অবশ্য স্মরণীয় হয়নি। শরিফুল ইসলামের বলে এক চারে ১৩ বলে ৭ রান করা এই ব্যাটারের দারুণ ক্যাচ নেন স্লিপে দাঁড়ানো তাইজুল ইসলাম। আফগানদের ইনিংস ধরে ছিলেন রহমত শাহ। তাকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। অফ স্টাম্পের বাইরের বল তার ব্যাট ছুঁয়ে লিটনের গ্লাভসে যায়। এর আগে ৭৩ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।

আফগানিস্তানের জন্য ভরসা হতে শুরু করেছিল করিম জানাতের ব্যাটও। কিন্তু ১৮ বলে ১৮ রান করে এই ব্যাটার তাসকিনের বলে হয়ে যান বোল্ড। এরপর আফগানিস্তানের জন্য অলআউট হওয়া ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার। সেটি চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের আগেই করে বাংলাদেশের বোলাররা। শেষ ব্যাটার অবশ্য রিটায়ার্ড হার্ড হন জহির খান।

উদযাপনে কমতি হলেও বাংলাদেশের এই ম্যাচের প্রাপ্তিতে সেটি ছিল না একদমই। দুই ইনিংস পর নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২৬ ইনিংস পর মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি অথবা দুই ইনিংসে যথাক্রমে এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদের চার উইকেট। এই টেস্টটি হয়তো মনে থাকবে লিটন দাসের অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচ অথবা সাদা পোশাকে একটু সম্ভাবনার উঁকি দেওয়ার জন্যও।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ