শনিবার, মে ১১, ২০২৪
প্রচ্ছদটপহাসপাতালে ভর্তি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

হাসপাতালে ভর্তি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে যান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গেলে এভার কেয়ারের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দীন তাকে ভর্তি হতে বলেন। তিনি বলেছেন, সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।’

নয়াপল্টনে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় ৩২ দিন কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই সঙ্গে মুক্তি পান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এর আগে ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মির্জা ফখরুল-আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন।

পরদিন ৪ জানুয়ারি সকালে জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে ওইদিন দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম আবেদন মঞ্জুর করে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সেই পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিননামা দাখিল করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছিলেন চেম্বার বিচারপতি। এর পর ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ দুই নেতাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন।

গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের পর ৮ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।

পরদিন দুপুরে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ওইদিন বিকালে মির্জা ফখরুল আর আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন পল্টন থানার পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তবে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে যে মামলা করেন সেটির এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ