শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপবাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ

রাত পোহালেই ঈদ। শেষ মুহূর্তে ১৩ মে ভোর থেকেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে করোনা মহামারারির লকডাউনে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ফেরিতে। 

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠছেন যাত্রীরা। পরে তিন থেকে চার গুন বাড়তি ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন যাত্রীরা।তবে, উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি। একে অপরের গাঁয়ে ঘেঁষে যাতায়াত করাতে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। 

এছাড়া ঘাটের উভয়পাড়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ভোর থেকে তা চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন জানান, লকডাউনে ফেরি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যাত্রীদের চাপে এই নৌরুটে চলাচল করছে ১৫টি ফেরিতে। এই ফেরিগুলোতে যানবাহনের চেয়ে যাত্রীদের চাপ কয়েকগুন বেশি। অধিকাংশ যাত্রীদের প্রখর রোদে ফেরিতে দাঁড়িয়ে থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটারের নৌরুটে পদ্মা নদীতে পাড়ি দিতে হচ্ছে। 

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, যাত্রীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ঘাট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। 

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নৌপথে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, এ ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। যাত্রীদের হয়রানি রোধে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক টিম। 

১২ মে অতিরিক্ত যাত্রীদের গাদাগাদিতে এই নৌরুটে আলাদা দুটি ফেরিতে দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ