শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপরাত ১০টার পর অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন...

রাত ১০টার পর অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন মাঠে থাকবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের ১৮ দফার মধ্যে রাত ১০টার পর অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন মাঠে থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

গত কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১১ নম্বর দফায় বলা হয়, অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা/আড্ডা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

সরকারের ১৮ দফা নিয়ে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গতবছরে প্রথমে রাত ৮টা, পরে ১০টা করে দিয়েছিলাম। এখন এই জায়গাটা একটু নিয়ন্ত্রণ করা যে অযথা বাইরে আসা মানে আক্রান্ত হওয়া। এখনকার ভাইরাসের স্ট্রেইনটা ভয়াবহ এবং ৭০ শতাংশ দ্রুত ছড়াচ্ছে। আপনি আক্রান্ত হলে আপনার পরিবারের বৃদ্ধ সদস্য আক্রান্ত হবে এবং তার জীবনের ঝুঁকি আছে। সেই কথা চিন্তা করে অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরায় সতর্ক থাকতে হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাত ১০টার পরে বাইরে বের হওয়ার বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমরা অবশ্যই রাস্তাঘাটে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করবো। আমাদের পুলিশ প্রশাসন এখানে কাজ করবে। জরুরি কাজ ছাড়া অপ্রয়োজনে কেউ যাতে বাইরে না যায় সেটি আমরা নিশ্চিত করবো। মোবাইল কোর্ট চলমান।

ফরহাদ হোসেন বলেন, হঠাৎ করে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। সারাবিশ্বেই দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশেও সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে। ভ্যাকসিন আসার পরে দেখলাম সবাই নিয়ম-কানুন থেকে বের হয়ে এসে মনে করলো হয়তো করোনা চলে গেছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েকটি ঢেউ এসে গেছে। বাংলাদেশের এই ঢেউটাকে আমরা দ্বিতীয় ঢেউ বলতে পারি। কারণ আমরা আশঙ্কা করেছিলাম শীতের সময় অনেকটা বেড়ে যাবে। কিন্তু আমাদের সতর্কতার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। হঠাৎ করে এখন গ্রীষ্ম আসছে এবং বেড়ে যাচ্ছে। ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই তাদের ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হবে। আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের বলে দেবো স্বাস্থ্যবিধি মানতে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও ভোট হচ্ছে।

আর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সমস্ত জনসমাগম সীমিত করবো। যেখানে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে।

চলমান একুশের বইমেলা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেটা করতে হবে। করেনা প্রতিরোধ করতে পারি যদি মাস্ক পরি, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারি এবং হাত ধুই। এটি কিন্তু অজানা কিছু না। আমাদের এখন অনেক অভিজ্ঞতা।

মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে বলে সরকারের ১৮ দফায় উল্লেখ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাইবো যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে মসজিদগুলোতে নামাজ পড়তে আসেন। সেক্ষেত্রে সবাই অবশ্যই যেন সতর্কতা অবলম্বন করেন এবং মাস্ক পরে নামাজ পড়তে আসেন। বাসা থেকে অজু করে আসতে পারলে ভালো হয়, তাতে আমরা নিজেদের সুরক্ষায় রাখতে পারবো। প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে যাতে করে সংক্রমিত না হই।

হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি মানুষের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে বলে নির্দেশনায় বলা রয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য আমাদের চলমান থাকবে। যাতে আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে না যাই সেদিকটা মানতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ