রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......সাকা চৌধুরীর রায় ফাঁস : ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী আটক, আরেকজন পলাতক

সাকা চৌধুরীর রায় ফাঁস : ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী আটক, আরেকজন পলাতক

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এক কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক হওয়া নয়ন আলী ট্রাইব্যুনালের ফাইলপত্র আনা নেয়া করতেন। এই কাজে ফারুক নামে আরও এক কর্মচারী জড়িত ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ফারুক এখনও পলাতক।

দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে নয়ন আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া কর্মচারী পুলিশকে জানান, রায় লেখার সময় কম্পিউটার থেকে তা চুরি করে সালিউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদীর কাছে পৌঁছে দেন তারা। পরে নয়ন আলী, ফারুক এবং মেহেদীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মঙ্গলবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগের রাতে বিভিন্ন অনলাইনে এই রায়ের অংশবিশেষ ফাঁস হয়ে যায়। ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করেছে ট্রাইব্যুনালও। পরে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বুধবার। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ।
পরদিন ট্রাইব্যুনালের রায় লেখার কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। ট্রাইব্যুনালেরই কম্পিটার শাখার চারজন কর্মচারীকে সন্দেহ করে আসছিল গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। শুক্রবার গোয়েন্দা পুলিশ তল্লাশি করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের চেম্বার। সেখান থেকেও দুটি সিপিইউ, একটি প্রিন্টার ও বেশ কিছু সিডি জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ।
রায়ের পরদিন রায়ের একাংশ ফাঁসের কথা স্বীকার করে ট্রাইব্যুনাল বলে, বিচারকে বিতর্কিত করতে বিপুল পরিমাণ টাকা ঢালা হয়েছে। এর আগেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামূল হকের স্কাইপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বেলজিয়ামে এক আইনজীবীর সাথে তার কথোপকথন ফাঁস করে দেয়া হয়। একটি জাতীয় দৈনিকে এই কথোপকথন ফাঁসের পর পদত্যাগ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান। কিন্তু এই ঘটনায় কারা জড়িত তার তদন্ত হয়নি। এই কাজের সঙ্গে জড়িতরা ধরা না পড়ায় রায় ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টরা।
তবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের যে অংশবিশেষ ফাঁস হয়েছে তাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোন কোন অপরাধ প্রমাণ হয়েছে তার বর্ণনা থাকলেও সাজার কথা উল্লেখ নেই।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী আফরোজ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিচারক রায় লেখার সময় বিচারক হাতেও লিখতে পারেন আবার কম্পিউটারেও টাইপ করাতে পারেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের ক্ষেত্রে কম্পিইটারে টাইপ করার সময় তা কেউ চুরি করে নিয়ে যেতে পরে।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ