রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......বৃষ্টিতে বন্দরনগরীতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, জনজীবনে দুভোর্গ

বৃষ্টিতে বন্দরনগরীতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, জনজীবনে দুভোর্গ

চট্টগ্রাম অফিস (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। নাগরিক জীবনের দুর্ভোগের পাশাপাশি এসব এলাকা দিয়ে প্রথমে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্য বেলা বাড়‍ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কের পানি সরে গেলে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় অফিস-আদালত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন কাজে বের হওয়া নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন,‘মৌসুমী বায়ু বিদায় নিচ্ছে। এর রেশটা এখনো কিছুটা থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে ভারি ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে।’ এরমধ্যে শুক্রবার সকালেই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে শুক্রবার সকাল ৬টো থেকে ৯ টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে যার পরিমাণ হচ্ছে ৩৯ মিলিমিটার। মৌসুমী বায়ুর সক্রিয় প্রভাবে এমন বৃষ্টিপাত আরও দু-একদিন হতে পারে বলে জানান সহাকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ।

এদিকে সরেজমিনে ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারি ও মাঝারি বর্ষণ হওয়ায় নগরীর চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দরহাট, চান্দগাঁও, বাদুরতলা,শুলকবহর,আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা ও সড়ক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। সড়কে হাটু পানি জমে যাওয়ায় যান চলাচলেও ব্যাহত হয়।

মুরাদপুর এলাকার ব্যবসায়ী সায়েদুল ইসলাম  বলেন,‘সকালে বৃষ্টি বেশি হয়েছে। টানা তিন ঘণ্টা ভারি বর্ষণ হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সড়কে হাটু পানি জমে যাওয়ায় সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোন ধরনের গাড়ি ও রিকশা চলাচল করতে পারেনি। পানি নেমে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।’

এদিকে সকাল থেকে রিকশা কিংবা অন্যকোন যানবাহন না পেয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিশেষ করে বিপাকে পড়েন নিম্ন-আয়ের মানুষজন। অনেকে আবার রিকশা-যান না পেয়ে হেটেই গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন।

নগরীর চকবাজার এলাকার গৃহিণী সুফিয়া আকতার মনি  বলেন,‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাজারে এসেছি। কিন্তু পানি জমে যাওয়ার কারণে বিপাকে পড়ে গেলাম।’  আবহাওয়া অফিস সূ্ত্র জানায়, বৃষ্টির কারণে কারণে জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়েও কিছুটা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সাগর শান্ত রয়েছে। সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন,‘সাগর শান্ত রয়েছে। নদী কিংবা সমুদ্র বন্দরের জন্যও কোন সংকেত দেয়া হয়নি।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ