শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনমানবাধিকার রক্ষা করা প্রত্যেক নিরাপত্তাবাহিনীর উপর অর্পিত দায়িত্ব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মানবাধিকার রক্ষা করা প্রত্যেক নিরাপত্তাবাহিনীর উপর অর্পিত দায়িত্ব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

চট্টগ্রাম অফিসঃ (বিডিসময়২৪ডটকম)

নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা হলে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহিউদ্দিন খান আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর পতেঙ্গায় ৠাব-৭ এর সদর দপ্তরের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কতিপয় স্বৈরতান্ত্রিক দলের প্রতিভু রাজনৈতিক মোড়কে গণতন্ত্রের মুল ভিত্তি নির্বাচনকে প্রতিহত করার আহবান জানাচ্ছে। কোন ব্যক্তি কিংবা মহল বিশেষ যদি বলেন গণতন্ত্রের মুল ভিত্তি স্থাপনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো না।

আমরা বলবো ‍এটা আপনাদের নাগরিক অধিকার। যদি বলেন, নির্বাচনে বাধা দিব, ভোট দিতে গেলে বাধা দিব। তখন রাষ্ট্র সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে, সরকারের সর্বাত্মক দৃঢ়তা দিয়ে তাদের দমন করা হবে। প্রতিহত করা হবে।

মন্ত্রী গণতন্ত্র রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘২০০৪ সালের পর থেকে  ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ ৠাবের মাধ্যমে বা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে নির্যাতন অত্যাচারের উদাহরণ বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছিল। তার থেকে এ সরকার এ ৠাবকে মুক্তি দিয়ে জনগণের বন্ধু প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার রক্ষা করা প্রত্যেক নিরাপত্তাবাহিনীর উপর অর্পিত দায়িত্ব। আমরা সকল অপরাধকে মানবাধিকার লঙ্গনের উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করি। চুরি, রাহাজানি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ এসকল  কিছু সাধারণ মানুষের মানবাধিকারের লংঘন। যারা মানবিধকার লংঘন করে তাদের সমূলে বিনাশ করা এবং তাদের দমন করা ৠাবের দায়িত্ব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৠাব ও অন্যান্য বাহিনীর মুল কাজ হলো গণতন্ত্র রক্ষা করা। স্বৈরতন্ত্র যখন দেশে থাকে রাস্ট্রের কোন নিরাপত্তাবাহিনী মানুষের মঙ্গলে, কল্যানে এবং নিরাপত্তা বিধানে ব্যবহৃত হয় না। এরা নির্যাতনের ধারক বাহক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কোন নিরাপত্তাবাহিনী যাতে নির্যাতনের ধারক বাহক হিসেবে ব্যবহৃত না হতে পারে, গণতান্ত্রিক সরকারের সময় নিরাপত্তাবাহিনী মৌলবাদ ও অত্যাচার দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 ড.মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, তৎকালিন স্বৈরতন্ত্র সরকার ৠাব দিয়ে আমাকেও গ্রেফতার করেছিল। এধরণের গ্রেফতার এখন নেই। এধরণের অত্যাচার নির্যাতনের উদাহরণ ৠাব কর্তৃক সৃষ্টি হয়নি। কারণ বর্তমানে ৠাবকে পরিচালিত করে গণতান্ত্রিক সরকার।

 মন্ত্রী বলেন,গণতন্ত্র রক্ষায় সঠিক সময়ে অবাধ সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্রের মুল ভিত্তি নির্বাচন করতে না পারি তাহলে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে আমরা ব্যর্থ হব। গণতন্ত্র স্থাপনে ৠাবকে  এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় আপনাদের যা যা কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নেবেন। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাংসদ এম এ লতিফ বলেন, স্বামীকে অফিসে পাঠিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকতেন স্ত্রী, সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকতেন অভিভাবকরা। খুন হলে সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মামলা করতে যেতেন না। মামলা হলেও সাক্ষী দিতে চান না। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ৠবের ‘তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা’ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।

তিনি বলেন, টিভি পর্দায় যারা ওই ব্যবস্থাকে মানবাধিকারের লংঘন বলে এটিকে বন্ধের কথা বলে মধ্যরাত গরম করেন তারা সাধারণ মানুষের আহাজারি বুঝেন না।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ৠাবের মহা পরিচালক মোখলেছুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ৠাব ৭ এর অধিনায়ক কমান্ডার এম সাহেদ করিম।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ