শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপ্রধানমন্ত্রী ও নবনিযুক্ত মন্ত্রী পরিষদকে ক্যাব চট্টগ্রামের অভিনন্দন

প্রধানমন্ত্রী ও নবনিযুক্ত মন্ত্রী পরিষদকে ক্যাব চট্টগ্রামের অভিনন্দন

চতুর্থবারের মতো ও টানা তৃতীয়বার দেশের প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্বগ্রহন করায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতিরজনকের কন্যা শেখ হাসিনা ও নব নিযুক্ত মন্ত্রীপরিষদকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষনকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নগর ও বিভাগীয় কমিটি। ০৭ জানুয়ারি রাস্ট্রপতি আবদুল হামিদ নব নিযুক্ত মন্ত্রী শপথ করানোর পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বরাবরে প্রেরিত শুভেচ্ছা বানীতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বর্তমান মন্ত্রী সভা, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যগন সরকারের দিনবদলের সনদ অনুযায়ী বাংলাদেশকে স্বল্পন্নোত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উপনীত করা, দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনিক কাঠামোতে সংস্কার আনতে সক্ষম হবেন। দেশের মানুষ নাগরিক হিসাবে যোগ্য সম্মান পাবে, একই সাথে নাগরিকের মৌলিক অধিকার বিশেষ করে ভোক্তা অধিকার (সুশিক্ষা, সুচিকিৎসা, নিরাপদ খাদ্য, জ্বালানী নিরাপত্তা, বস্ত্র, নিরাপদ আবাসন, নিরাপদ সড়ক যাতায়ত, আইসিটি, ব্যাংকিং ও আর্থিক অধিকারগুলি) সুরক্ষিত হবে। নাগরিককের মুক্ত চিন্তা ও মতামতের প্রতিফলন ঘটানোর অধিকারগুলি রাস্ট্র নিশ্চিত করবে।
 
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মন্ত্রী পরিষদ বরাবরে প্রেরিত পত্রে আরও আশা করা হয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য মূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ, মজুদদারী, ফাঁড়িয়া ও কালোবাজারী নিয়ন্ত্রনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন এবং বাজারে অসাধু সংঘবদ্ধ ব্যবসায়ী বা সিন্ডিকেট রোধে প্রতিযোগিতামূলক আইনে এর যথাযথ প্রয়োগ, পণ্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতির বাস্তব প্রতিফলনে প্রাইস কমিশণ গঠন ও বাস্তবায়ন, পণ্যমূল্যের সিন্ডকেট, বাণিজ্যে অনৈতিকতা রোধ ও সকল সেবা-সার্ভিসে অব্যবস্থা নিরসনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ পরিবর্তন-পরিমার্জন করা, টিসিবিকে কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা; শহর-নগরে বসবাসকারি নাগরিকদের জীবনমান রক্ষায় বিদ্যমান “বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১” পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে জনস্বার্থে তা কার্যকর করা, সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদী কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে নগরে বসবাসরত মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দের ব্যবস্থা করা, সহজ শর্তে গৃহনির্মান ঋন, খাদ্যে ভেজাল, ফরমালিন মিশ্রণরোধে নিারপদ খাদ্য আইন বাস্তবায়ন জোরদার করা, বর্তমান গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, রেলের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারন করা, নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমুহের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষে ভোক্তা প্রতিনিধি নির্বাচনে ক্যাব প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত, বাজার তদারকিকে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অত্যাবশ্যকীয় কাজের আওতায় আনার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি, সরকারি ভাবে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির পৃষ্ঠোপোষকতার পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংগঠনগুলিকেও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা, গ্রাহকদের অধিকার সুরক্ষা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় গ্রাহকদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা, কৃষি খাতে ভুর্তকি ও প্রণোদনা বাড়ানো, কৃষকের পন্যের বিক্রয় মূল্য ও খোলা বাজারে খুচরা বিক্রয়মূল্যের একটি সীমা নির্ধারণ, খুচরা বাজারে মূল্য বৃদ্ধিকারীদের শনাক্ত করে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। 
 
একই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ি প্রশাসনের সর্বস্তরে ই-গভর্নেন্স সেবা, সরকারি জনসেবার তথ্য জানতে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ কার্যকর করা, আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক গণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, প্রশাসনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়-পরায়ণতা এবং জনসেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদসহ পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনগুলিকে শক্তিশালীকরণ, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা উন্নত ও প্রসারিত করা, নগর ও শহরে ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, পরিকল্পিত উন্নয়ন এবং নগর ব্যবস্থাপনায় অধিকতর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, সামাজিক সুরক্ষার আওতা ও পরিধি বাড়ানো, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কৃষি উপকরণের উপর ভর্তুকি বাড়ানো, কৃষিপণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা, ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিপণ্যের দক্ষ সাপ্লাই চেন/ভ্যালু চেইন গড়ে তোলা, ছোট ও মাঝারি আকারের দুগ্ধ ও পোল্ট্রি খামার প্রতিষ্ঠা এবং মৎস্য চাষের জন্য সহজ শর্তে ঋণ, প্রয়োজনমত ভর্তুকি, প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধি করা, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনায়ন, আধুনিক বাস সার্ভিস চালু করা, তৃণমূলে সুসাশন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রশাসনের সকল পর্যায়ে তৃপক্ষীয় গণশুণাণীর আয়োজন করা, শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত, ভর্তি ও কোচিং বানিজ্য বন্ধ, ওষুধ, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানী, আইসিটিসহ সরকারী-বেসরকারী সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষে গ্রাহক হয়রানি রোধ ও সেবার মান নিশ্চিতে ভোক্তাদের সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে সরকারি নজরদারি নিশ্চিত করার বিষয়গুলি আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ও ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ