রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করার কারণে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কন্টেইনারের পাশাপাশি কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে চট্টগ্রাম বন্দর। সীমিত যন্ত্রপাতি সত্বেও ২৮ লাখ ৮ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় এবার ১২ কোটি ৯৪ লাখ মেট্রিক টন বেশি কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬ শতাংশের বেশি।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুই দিনে ১২ ঘন্টাকে ২৪ ঘন্টা ছাড়া পুরোদমে চালু ছিলো দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম। এর প্রভাব পড়েছে বন্দরের প্রবৃদ্ধি অর্জনে। গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর আগের বছরের চেয়ে ৩ লাখ ৫ হাজার টিইউএস কন্টেইনার বেশি হ্যান্ডেলিং করেছে, যা এ যাবতকালের রেকর্ড।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মো. জাফর আলম বলেন, এটি একটি ঈর্ষনীয় প্রবৃদ্ধি। এটি অর্জনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর পরিশ্রম করেছে, আউটডকের যারা আছেন তারাও পরিশ্রম করেছেন।
একইভাবে কার্গো হ্যান্ডেলিং-এর ক্ষেত্রেো রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। ১৬.১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হিসেবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কার্গো হ্যান্ডেলিং করা হয়েছে ৯২ কোটি ৯৩ লাখ ৩ হাজার ২২৮ মেট্রিকটন। সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করার কারণে ব্যবসায়ী এবং বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করাতে এই রেকর্ড অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, যেসব যন্ত্রপাতি সংস্কারের অভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করে এখানে আরও কন্টেইনার রাখার এবং হ্যন্ডেলিংয়ের ব্যবস্থা করা দরকার। বন্দরে বেড়েছে জাহাজ আসার পরিমাণও। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য নিয়ে ৩০৯২ টি জাহাজ আসলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাহাজ এসেছে ৩৬৪০টি।