শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপক্রিসেন্ট হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারেই ধরা পড়ল দুই ভুয়া চিকিৎসক

ক্রিসেন্ট হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারেই ধরা পড়ল দুই ভুয়া চিকিৎসক

জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) থেকে রোগী ভাগিয়ে এনে নামসর্বস্ব ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গরিব রোগীদের জিম্মি করে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। বুধবার র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতালটিতে অভিযান চালায়। অভিযানে হাসপাতাল থেকে হাসান ও আনোয়ার নামে দুই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে ২ বছরের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানের সময় হাসপাতালের মালিক নূরুন্নবী পালিয়ে যান। হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে চুন্নু ব্যাপারি নামে এক মুমূর্ষু রোগীকে উদ্ধার করে জাতীয় অর্থোপেডিকস ও পুনর্বাসন হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম বলেন, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের উল্টো দিকে ২২/২ শহীদ নূরুজ্জামান সড়কের পাঁচ তলা ভবনের পঞ্চম তলায় ক্রিসেন্ট হাসপাতাল অবস্থিত। এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা রোগীর বেশিরভাগই জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে দালালদের মাধ্যমে ভাগিয়ে এনে ভর্তি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার সুমাইয়া (৬) নামে এক শিশুর ভাঙা পা চিকিৎসার নামে তাকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসার নামে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটার বলতে নামসর্বস্ব। সেখানে কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি নেই। অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে এক রোগী রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করছিলেন।

ওই সময় ভুয়া চিকিৎসক হাসান ও সোহাগ রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। রোগীর নাম চুন্নু ব্যাপারী। তিনি মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তাকে নেয়া হয় জাতীয় অর্থোপেডিকস ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)। সেখান থেকে দালাল চক্র চুন্নু ব্যাপারীকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়ে নিয়ে আসেন ক্রিসেন্ট হাসপাতালে। পরে দেড় লাখ টাকায় অপারেশন করিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

বুধবার সন্ধ্যার পর ওই হাসপাতালের দুই ভুয়া চিকিৎসক চুন্নু ব্যাপারীর অপারেশন করার সময় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে গ্রেফতার হয়। তাদের ২ বছরের জেল দেয়া হয়। এছাড়া হাসপাতালটির ম্যানেজার সোহাগ, মিঠুন, আবু ইউসুফ, ইসমাইল হোসেন ও পঙ্কজকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ