বুধবার, মে ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপনিহত যাত্রীদের লাশ দ্রুতই দেশে আনা হবে

নিহত যাত্রীদের লাশ দ্রুতই দেশে আনা হবে

নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানের নিহত যাত্রীদের লাশ দ্রুতই দেশে আনা হবে। এজন্য যে খরচ হবে তা বহন করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। আহতদের চিকিৎসা খরচও যোগাবে বিমান সংস্থাটি। মঙ্গলবার ইউএস-বাংলার জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এ সময় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

কামরুল বলেন, এ পর্যন্ত পাইলট আবিদসহ ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনাসহ আহতদের সুস্থ করতে যে খরচ হবে তা ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ বহন করবে।

বিমান দুর্ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাবিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়াতে বিভিন্ন তথ্য দেয়া হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি ৪৯জনের মতো নিহত হয়েছে। তালিকা দেয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু জানাতে পারবো না। তবে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে পৌঁছেছে। খুব দ্রুতই আপনাদেরকে জানাতে পারব। ছাড়া সবার আইডেন্টিটি কার্ড নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নেপালি ও বাংলাদেশিদের তালিকা বের করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে সময় লাগছে।

ঘটনার জন্য কাঠমান্ডুর এটিসি কন্ট্রোলকে দায়ী দাবি করে কামরুল বলেন, পাইলটের সঙ্গে কাঠমান্ডুর এটিসি কন্ট্রোলের লাস্ট কথাপোকথনে তাকে রানওয়ে সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছিল। যেটা আন্তর্জাতিক গণমধ্যমেও এসেছে। কারণ আমাদের উড়োজাহাজের কোনো সমস্যা ছিল না এবং আমাদের প্রধান বৈমানিক ৫ হাজার ঘণ্টার উপরে এভিয়েশনে ফ্লাই করেছেন। এবং কাঠমান্ডু এয়ারপোর্টে শতাধিকবার তিনি ল্যান্ড করেছেন। যার কারণে আমার কাছে মনে হয় না, ক্যাপ্টেনের কোনো ভুল-ভ্রান্তি ছিল।

তিনি আরও বলেন, কাঠমান্ডু এয়ারপোর্টে ইউ-এস বাংলার ফ্লাইটসহ মোট ৭০টি এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্টের ঘটনা ঘটেছে। এটা কাঠমান্ডুর নতুন ঘটনা না। সুতরাং তদন্তের পরেই আসলে বুঝা যাবে সমস্য কোথায়। ইউএস-বাংলার জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ইতোমধ্য খবর পেয়েছি প্রধান পাইলট মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত সবার কলের জন্য শোক প্রকাশ করছি ও দেশবাসীর কাছে নিহতদের জন্য দোয়া চাচ্ছি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ