রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় পাহাড়িদের ৪টি গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনা তদন্তে আইন অনুযায়ী কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতির নিরূপণ কমিশন কেন করবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লংগদুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, ক্ষতিগ্রস্ত, আইনজীবীসহ নয়জন এ রিট আবেদন করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সুলতান উদ্দিন ও এম মনজুর আলম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
রুলে কমিশন বিষয়ে অগ্রগতি আগামী তিন মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রতিবেদন দাখিল করতে আগামী ৩ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রসঙ্গত, স্থানীয় যুবলীগের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনায় গত ২ জুন লংগদু উপজেলা সদরের চারটি গ্রামে পাহাড়িদের দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হচ্ছে তিনটিলা, মানিকজোড়ছড়া, বাত্যাপাড়া ও বড়াদম।