মঙ্গলবার, মে ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ অতিক্রম করবে বাংলাদেশ

১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ অতিক্রম করবে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। আজ সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, সাড়ে ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। বাংলাদেশ অতিক্রম করার পর এই ঝড় আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছেন শামসুদ্দিন আহমেদ।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে আবার ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,  নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও তাদের দূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো আবার ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে দূরপাল্লার নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে মঙ্গলবার সকালেও মাইকিং চলছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিমও। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে ভোর থেকে চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। বাতাসের গতিবেগ ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পতেঙ্গাসহ উপকূলীয় এলাকার ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র রাতে জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান পরিদর্শন করেছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ