শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপরিপনের ফাঁসির রায় আজ রাতেই কার্যকর

রিপনের ফাঁসির রায় আজ রাতেই কার্যকর

সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসির রায় আজ রাতেই কার্যকর হচ্ছে। বুধবার দুপুরে সিলেট জেলা কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ ছগির মিয়া  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁর বাবা আবদুল ইউসুফ, মা আজিজুন্নেছা, ভাই নাজমুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী। কারা সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রায় কার্যকরের জন্য ১০ জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাষ্ট্রপতির কাছে করা রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এরপর তা রিপনকে পড়ে শোনানো হয়।

২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল উদ্দিন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হন আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন।

এই ঘটনায় করা মামলার রায়ে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। মুফতি হান্নান ও বিপুলকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন। প্রায় সাত বছর পর গত বছরের ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল রেখে ১১ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। গত বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। অন্য মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি রিপন আপিল না করলেও আপিল বিভাগ তাঁর জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ করেন। আপিলের শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায়ে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তিন আসামির সর্বোচ্চ রায় বহাল রাখেন আদালত। গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ করেন। পরে ১৯ মার্চ দেওয়া রিভিউ খারিজের রায় গত ২১ মার্চ প্রকাশিত হয়। রিভিউ খারিজের রায়ের কপি তিন আসামিকে পড়ে শুনানো হয়। এরপর প্রাণভিক্ষা চেয়ে গত ২৭ মার্চ রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন তিন আসামি। পরে তা স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যায়। সম্প্রতি ওই আবেদন নাকচ করেন রাষ্ট্রপতি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ