রবিবার, মে ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলায় চবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলায় চবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন। ১২ ডিসেম্বর দুপুরে মহানগর হাকিম আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমানের আদালতে দণ্ডবিধির ৫০০ ও ৫০১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। আদালত নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনারকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদি অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী আমাকে উদ্দেশ্যে করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সন্দেহের কথা বলেছিলেন। বিষয়টি আমার জন্য মানহানিকর। তাই তার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলা করেছি। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চবির সাবেক উপাচার্য ড. আবু ইউসুফ আলমের নাগরিক স্মরণসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক নগদ টাকা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। এসময় উপাচার্য একই মঞ্চে বসা অধ্যাপক ড. গাজী সালেহ উদ্দিনকে দেখিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। একই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে অধ্যাপক ড. গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করা ভালো না। আমি কিছু পাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এখন অবসরে গিয়েছি। আমি মুক্তিযুদ্ধ করিনি এমন প্রমাণ করতে একজন সাবেক উপাচার্য চেষ্টার ত্রুটি করেননি। কিন্তু তিনি সফল হননি। মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম বলে এক বছর ছুটি পেয়েছি। সার্টিফিকেট গলায় লাগিয়ে বলার দরকার নেই আমি মুক্তিযোদ্ধা। রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। গাজী সালেহ উদ্দিনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সন্দেহ প্রকাশ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে সমালোচনা করা হয়। অবশেষে গাজী সালেহ উদ্দিন সোমবার মামলা দায়ের করলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ