মাতাল স্বামীর অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে তাকে খুন করে স্ত্রী খোদেজা বেগম (৩৫)। এরপর থানায় হাজির হয়ে খোদেজা নিজেই পুলিশকে খুনের বিষয়টি জানান। ০৫ অক্টোবর গভীর রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় এই ঘটনা ঘটেছে। খোদেজার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম পেশায় লরিচালক। তাদের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলায়। সীতাকুণ্ডের মাদামবিবির হাটে জনৈক নাসির কন্ট্রাক্টরের ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকত জাহাঙ্গীর। ১২ বছর ও সাড়ে তিন বছর বয়সী দুই ছেলে আছে জাহাঙ্গীর দম্পতির। বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকুণ্ড থানার ডিউটি অফিসার এস আই রেহানা আক্তার বলেন, স্বামীকে খুন করে খোদেজা বুধবার রাত ১টার দিকে নিজেই থানায় আসে। ডিউটি অফিসারের রুমে গিয়ে বলেন, আমি আমার স্বামীকে খুন করে এসেছি। আমাকে গ্রেফতার করুন। তিনি জানান, রাত ২টার দিকে পুলিশ খোদেজাকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাসায় যায়। সেখানে একটি কক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এস আই রেহানা জানান, জাহাঙ্গীর মদ খেয়ে বাসায় এসে প্রতি রাতে স্ত্রীকে মারধর করত। সন্তানদের সামনে গালাগাল করত। অপমান আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মঙ্গলবার ভোরে তাকে শিলপাটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করে। এরপর স্বামীর মরদেহ প্রায় দুইদিন বাসার ভেতরে রেখে দেয় খোদেজা। বুধবার গভীর রাতে জাহাঙ্গীরের পচন ধরা মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এস আই রেহানা। খোদেজাকে আটক করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন এস আই রেহানা।