আগামী ৪ আগস্ট থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হবে, চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ফিরতি ফ্লাইট ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত। অন্য বছরের মতো এবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এবং সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইনস অর্ধেক হজযাত্রী পরিবহন করবে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে হজ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সভায় অন্যদের মধ্যে ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, বিমান সচিব এসএম গোলাম ফারুক, ধর্মসচিব মো. আব্দুল জলিল ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনসে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার মানুষ হজে যেতে পারবেন। ৫ লাখ ২ হাজার ৬৪ হজযাত্রীকে সৌদি আরবে নিয়ে যাবে বিমানের ১১২টি বিশেষ ও ৩২টি নির্ধারিত ফ্লাইট। আর ফিরতি যাত্রীদের জন্য থাকবে ১০৫টি বিশেষ ও ২৯টি নির্ধারিত ফ্লাইট। তবে চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আরও মানুষ হজে যাওয়ার সুযোগ পাবে কিনা, সৌদি সরকার তা চলতি জুন মাস নাগাদ জানাবে বলে জানান তিনি।
রাশেদ খান মেনন জানান, সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এবার সংক্ষিপ্ত হজ প্যাকেজ রাখা হয়নি। তথ্য ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় হজযাত্রীদের জন্য নির্দেশনামূলক একটি ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছরের কিছু বিপর্যয় বাদে হজ পালনে আমরা সুনাম অর্জন করেছি। এবার আমরা সেটা করতে চাই। আশা করছি, প্রতিবারের মতো এবার সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পন্ন হবে।
গত কয়েক বছরের মতো এবার হাজিদের আগেই জমজমের পানি আসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীরা ফেরত এলে বিমানবন্দরে তাদের হাতে ওই পানি তুলে দেওয়া হবে। দুটি লাগেজের ওজন ৪৬ কেজির বেশি হতে পারবে না, কোনো বাড়তি লাগেজ অ্যালাউ করব না। লাগেজের শেইপও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের যে প্রকোপ রয়েছে তাতে বিমানপথে এ সন্ত্রাসবাদী ঘটনার সম্ভাবনা থাকায় চেকিং বেড়ে গেছে। সুতরাং লাগেজের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কম্বল-জায়নামাজ ভরে লাগেজের আকার বড় না করাই ভালো। কারণ লাগেজ নিয়ে প্রতিবারই ঝামেলা হয়।
গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা যে হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, তাতে এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোরবানিসহ প্যাকেজে ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা এবং কোরবানি ছাড়া প্যাকেজে ৩ লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা খরচ পড়বে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মূল খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪১ টাকা। এর সঙ্গে খাওয়া-বাড়ি ভাড়া যোগ করে এজেন্টরা প্যাকেজ ঠিক করবে।
