শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনবাঁশখালীর আদালতে তিন আইনজীবীর জবানবন্দি

বাঁশখালীর আদালতে তিন আইনজীবীর জবানবন্দি

জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডকে অর্থ দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আইনজীবীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ শুরু করেছেন আদালত। শুরুতে জবানবন্দি দিয়েছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন।  এরপর বেলা ১২ টা থেকে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার জবানবন্দি গ্রহণ করছেন আদালত।   এরপর অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেনের আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়েছে।  র‌্যাব চট্টগ্রাম জোনের সহকারি পরিচালক এএসপি মো.আমিরউল্লাহ এসব তথ্য জানিয়েছেন। ১৮ আগস্ট রাতে ঢাকার ধানমন্ডি থেকে তিন আইনজীবীকে গ্রেপ্তারের পর চারদিনের রিমান্ডে নেয় র‌্যাব।

তিন আইনজীবী হলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা (৩৯)। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।  চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য পদেও আছেন তিনি।  অপর দু’জন হলেন অ্যাডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন (৩০) এবং অ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন (২৫)।  এদের মধ্যে শাকিলা ফারজানা ও হাসানুজ্জামান লিটন সুপ্রিম কোর্টে এবং মাহফুজ চৌধুরী বাপন ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত আছেন।  র‌্যাব দাবি, তিন আইনজীবী চার ধাপে মনিরুজ্জামান ডনসহ কয়েকজনের অ্যাকাউন্টে নগদে এক কোটি আট লক্ষ টাকা জমা দিয়েছেন।  এর মধ্যে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা দিয়েছেন ৫২ লক্ষ টাকা।  তিনি প্রথম ধাপে ২৫ লক্ষ ও পরবর্তী ধাপে ২৭ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছেন।  হাসানুজ্জামান লিটন ৩১ লক্ষ টাকা এবং বাপন দিয়েছেন ২৫ লক্ষ টাকা।

তবে শাকিলার আইনজীবী সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তারের দাবি, মনিরুজ্জামান মাসুদ ওরফে ডন হেফাজতে ইসলামের মামলা পরিচালনার বিষয়ে আসামিপক্ষের হয়ে শাকিলা ফারজানার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।  মামলা পরিচালনার জন্য তিনি শাকিলাকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন।  পরে শাকিলা আবার ওই টাকা ডনের অ্যাকাউন্টে ফেরত দিয়েছিলেন।  ফেরত দেয়া টাকাকে জঙ্গি অর্থায়ন হিসেবে ধরে নিয়েছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারের পর বুধবার (১৯ আগস্ট) রাতে তিন আইনজীবীকে বাঁশখালী উপজেলার লটমণি পাহাড়ে শহীদ হামজা ব্রিগেডের গোপন সামরিক আস্তানা থেকে অস্ত্র-বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায়  দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছিল।  বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী এলাকায় ‘আল মাদরাসাতুল আবু বকর’ নামে একটি কওমি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব  মাদ্রাসাটিকে হামজা ব্রিগেডের তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।  ২১ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর লটমণি পাহাড় থেকে ৫ জন, ২৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর হালিশহর থানার একটি আবাসিক এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

১২ এপ্রিল (রোববার) রাতে নগরীর কোতয়ালি থানার মিডটাউন আবাসিক হোটেলে অস্ত্র কেনাবেচার সময় বিক্রেতা মোজাহের হোসেন মিঞা (৩৫) এবং বাঁশখালীতে জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাব্বির আহমেদ ওরফে মুহিবকে (২৩) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।  তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন রাতে আকবর শাহ থানার একে খান মোড়ে শ্যামলী বাস কাউন্টার থেকে মো.কামাল উদ্দিন ওরফে মোস্তফা (২৪) এবং আশরাফ আলীম ওরফে আদনানকে (২৫) আটক করা হয়।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ