শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনআ জ ম নাছিরকে যে কোন ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রামের দুই...

আ জ ম নাছিরকে যে কোন ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রামের দুই মন্ত্রী

নগরীর উন্নয়নে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে যে কোন ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চট্টগ্রামের দুই মন্ত্রী। এরা হলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। রোববার বিকেলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনায় দুই মন্ত্রীকে সামনে রেখে মেয়র দুই বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের অঙ্গীকার করেছেন। নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশারফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রামকে ক্লিন ও গ্রিন সিটি করতে আমরা মন্ত্রীরা নাছিরকে সহযোগিতা করব। আমি জাবেদসহ (ভূমি প্রতিমন্ত্রী) নাছিরকে নিয়ে বসব।

তিনি বলেন, সবাই সহযোগিতা করলে যানজট, ময়লা-আবর্জনামুক্ত নগর গড়া সম্ভব। জলাবদ্ধতা থাকবে না। নগরের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। আমি মনে করি নাছির সফল হবেন। মন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের উন্নয়ন। মিরসরাই ও আনোয়ারায় অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৫ লাখ শ্রমিক কাজ করবে। পুলিশকে নিয়ে আ জ ম নাছিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, জনসচেতনতার জন্য এটা ঠিক আছে। তবে পুলিশের আরো অন্য কাজ রয়েছে। সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। আ জ ম নাছির ভিশন ও মিশন নিয়ে চট্টগ্রাম সাজাবেন। মন্ত্রী হিসেবে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা। ইতোমধ্যে আমি কথা বলেছি বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে। এবার যদি আর ২০-২২দিন সময় পাই, তাহলে যেসব এলাকায় পানি বেশি হয় সেখানে আর সেভাবে পানি হবে না। আর পাঁচ বছর নয়, ইনশাল্লাহ দুই বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করব। গণসংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় নাগরিক কমিটি একটি ছিল। কিন্তু সেটির কোনো সভা হয়নি। অনেকে কাজ করেনি। যারা মনজুরকে ভোট দিয়েছেন তারা মোনাফেক।

আ জ ম নাছির তার বক্তব্যে মোছলেম উদ্দিনের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মোছলেম ভাই যেটা বলেছেন সেটা নিষ্ঠুর বাস্তবতা। তবে নির্বাচনে কে কাজ করেছে কে কাজ করেনিএটা নিয়ে সমালোচনা করে আমি দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাই না। আমার বিজয় মানে শেখ হাসিনার বিজয়, আওয়ামী লীগের বিজয়।

তিন বারের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জয় পরাজয়ের ভোটের ব্যবধান তুলে ধরে নাছির আরো বলেন, আমি এক লাখ ৯৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছি। কিন্তু আমার বিজয়কে খাটো করার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। ওইদিন বিএনপি মেয়র পদে নির্বাচন বর্জন করলেও বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট হয়েছে। বিএনপির কাউন্সিলরেরা ভোটের মাঠে ছিল। কাউন্সিলরদের যারা ভোট দিতে এসেছেন তাঁরা তাদের বিএনপির মেয়র প্রার্থীকেও ভোট দিয়েছেন।  তিনি বলেন, করপোরেশনের অনেক কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মস্থলে না এসে প্রতিমাসে বেতন তোলেন। আমি এসব বরদাস্ত করবো না। চাকুরি ছেড়ে দিতে হবে নয়তো কর্মস্থলে এসে চাকুরি করতে হবে।

জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব রয়েছে। ময়লা আবর্জনা আমাদের সঠিকস্থানে ফেলতে হবে। আমি ছয় মাস দেখব। এর পর যারা ফেলবেন না তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সিটি করপোরেশন পরিচালনা করবেন বলে ঘোষণা দেন নাছির উদ্দিন। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পটিয়া আসনের সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী, চন্দনাইশের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান, নারী সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ