বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিজিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার লিভ টু আপিল খারিজ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার লিভ টু আপিল খারিজ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা লিভ টু পিল(আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৩০ নভেম্বর রোববার সকালে এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।এর ফলে দুই দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার করা সবগুলো আপিল ও লিভ টু আপিলই খারিজ হয়ে গেলো উচ্চ আদালতে। ফলে বিচারিক আদালতে মামলা দু’টির কার্যক্রম চলতে আর কোনো বাধা রইলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন ও অভিযোগপত্রের (চার্জশিট)  বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার করা অপর দুই লিভ টু আপিলও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৩ এ খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুই দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। বিচারিক আদালতে বেশ কয়েকবার পেছানোর পর ১ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার প্রথম সাক্ষী ও বাদীর অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় দুর্নীতি মামলা করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্ট রুল নামঞ্জুর করেন। ২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন খালেদা।

অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। বিচারিক আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় গত ১৯ মার্চ দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ মোট ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে দু’টি মামলায় দু’টি রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট এ রিট আবেদন খারিজ করে দিলে আপিল বিভাগে আপিল করেন তিনি। গত ১৭ নভেম্বর থেকে এ তিন আপিলের শুনানি একসঙ্গে শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এসব লিভ টু আপিলের শুনানি করেন খালেদার আইনজীবী খোন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন ও এ জে মোহাম্মদ আলী।  রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

গত ১৪ অক্টোবর চেম্বার বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিয়া আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আপিল তিনটির শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ২৩ অক্টোবর এ তারিখ এগিয়ে (পরিবর্তন) আনার জন্য আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৬ অক্টোবর এ আবেদন মঞ্জুর করে শুনানি এগিয়ে ৬ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেছিলেন আপিল বিভাগ।পরে ৯ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য থাকলেও তা পেছাতে সময়ের আবেদন জানান খালেদার আইনজীবীরা। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি পিছিয়ে ১৬ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেন আদালত। ১৭ নভেম্বর কার্যতালিকায় এলে শুনানি শুরু হয়।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ