বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৯ সালের অনেক আগেই জাতীয় নির্বাচন হবে, সংলাপও হবে। বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে বলে বিএনপি বিশ্বাস করে কি না—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো অন্যায় জনগণ মেনে নেয় না, নেবে না। ৫ জানুয়ারির যে নির্বাচন, এতে জনগণ অংশ নেয়নি। গণতান্ত্রিক বিশ্বও তা সমর্থন করেনি। সবাই আশা করে, সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯ সালের আগেই সে নির্বাচন হবে।
সরকার পতনে বিএনপির কোনো টাইমফ্রেম আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সময় নির্ধারণ করে সরকার পতন হয় না। মানুষ যত দ্রুত আবার সংগঠিত হবে, রাস্তায় নেমে আসবে, তত দ্রুত সরকার পতন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’ তিনি বলেন, বিএনপি কোনো ট্রাম কার্ডে বিশ্বাস করে না।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন সংলাপ হবে না। কিন্তু তাঁদের সংলাপ করতেই হবে। তাঁরা আগেও বলেছেন, সংলাপ করতে হলে জামায়াতকে বাদ দিয়ে আসতে হবে। কিন্তু জামায়াত বিএনপির সঙ্গে থাকা অবস্থায়ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। যখন প্রয়োজন হবে, তখন নিঃসন্দেহে আলোচনা হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি আন্দোলনে যেতে চায় না। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হোক, এটাই তারা চায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘের বিশেষ দূত বাংলাদেশ সফরে আসার সময় দুই দলের সঙ্গেই বৈঠক করেছিল। তখন আওয়ামী লীগ বলেছিল, আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত একটি নতুন নির্বাচন দেওয়া হবে। সেই আলোচনার নথি সরবরাহ করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিষয়টি অস্বীকার করবেই। এ ধরনের আলোচনার আসলে কোনো নথি হয় না। আলোচনায় যদি কোনো ফলাফল আসে, তখনই কেবল নথি থাকে।
আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, গাড়ি চলার সময় প্রথমে ফার্স্ট গিয়ার, তারপর সেকেন্ড গিয়ার, এভাবে টপ গিয়ারে যায়। এটা আন্দোলনেরও বিজ্ঞান। বিএনপির আন্দোলনও তীব্র আকার ধারণ করবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান উপস্থিত ছিলেন।
