মঙ্গলবার, মে ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউদুই দলের আলোচনায় বসার নতুন কোনো তারিখ নেই

দুই দলের আলোচনায় বসার নতুন কোনো তারিখ নেই

 ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান নিয়ে সমঝোতা প্রসঙ্গে চলমান ‘সংলাপ’এর ইতি ঘটতে যাচ্ছে? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি কয়েক দফা বৈঠক করলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয় নি। অন্যদিকে নির্বাচনের সময়ও আসছে দ্রুত এগিয়ে। কিন্তু দুই দলের নেতাদের আলোচনায় বসার নতুন কোনো তারিখ নির্ধারিত হয় নি। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দলের সংলাপ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম গতকাল ইঙ্গিত দিলেন ‘অন্যরকম’। তিনি বলেছেন, দুই দল কয়েক দফা বসলেও ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ কেউ তার সমাপ্তি ঘোষণা করে নি। ১০ম সংসদের মেয়াদ শেষ হলে তবেই পরের নির্বাচন নিয়ে সংলাপ হবে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডি কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নাসিম বলেন, ১০ম সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ হওয়ার পর পার্লামেন্ট বসবে। সেই পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। আগের রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে ডাকা ওই সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য নাসিম বলেন, সাংবিধানিক কারণেই ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করতে হবে। যেকোনো মূল্যে আগামী সংসদ নির্বাচন সফল করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সফল করতে গণসংযোগ চালিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হবে। দলীয়ভাবে প্রচারণার পাশাপাশি ১৪ দলের ব্যানারেও প্রচারণা চালানো হবে। চলমান সংলাপ নিয়ে তিনি বলেন, সংলাপ চলছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ এর সমাপ্তি ঘোষণা করে নি।

প্রসঙ্গত, ১০ম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পর জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর উদ্যোগে আলোচনায় বসেন দুই প্রধান দলের নেতারা। এরই মধ্যে তিন দফা বৈঠক করে তারা বলেছেন, দুই দলেরই কিছু প্রস্তাব আছে, যা নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে। গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, তফসিল হয়ে যাওয়ায় ১০ম সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া অনেক দূর এগিয়েছে। তাই সমঝোতা হলেও বিএনপির এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আর সুযোগ নেই। সমঝোতা হলে তা হবে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে। ওইদিনই আরেক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, মহাজোট সরকার দ্বিতীয় ম্যান্ডেট পেয়ে গেছে। ১০ম সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও হয়ে গেছে। একাদশ জাতীয় সংসদের জন্য আলোচনা করতে হবে। অবশ্য এর পরদিনই বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার কথা ভেবে আমরা ১০ম জাতীয় সংসদের আগে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা এবং তফসিল স্থগিত করার দাবি নিয়েই সংলাপে বসেছিলাম; একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নয়। তবে সর্বশেষ বসার পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বৈঠকের জন্য নতুন কোনো তারিখ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ফখরুল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ