বুধবার, মে ১, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসিক ব্যাংক

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসিক ব্যাংক

বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেসিক ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বেসিক ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালপক (এমডি) আবু মোফাজ্জল বলেন, গণমাধ্যমে বলা হয়েছিলো বেসিক ব্যাংক বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে। এরপর থেকে বেসিকের আমানতকারীরা আতঙ্কে রয়েছে। এতে ব্যাংকটির বড় ক্ষতি হচ্ছে। এজন্য আমরা অর্থমন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করবো যাতে বেসরকারি কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেসিক ব্যাংকের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে গভর্নরের দপ্তরে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মনে করছেন, সরকারি ব্যাংক বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সঙ্গে  একীভূত করা অসামঞ্জস্যপূর্ণ, অযৌক্তিক ও বৈষম্য।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, দেশের ক্ষুদ্র শিল্পে অর্থায়নের লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড এর কার্যক্রম শুরু হয়, যা ১৯৯২ সালে শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে একটি রাষ্ট্র মালিকাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে সরকারী আর্থিক সেবা প্রদান করে আসছে যা ২০১৫ সালে পুরোপুরি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে রুপান্তরিত হয়। বেসিক ব্যাংক একটি সরকারি খাতের ব্যাংক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যাংকিং ব্যবসা পরিচালনা করেছে এবং দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর ধরে বাংলাদেশ সরকারকে বিপুল অঙ্কের মুনাফা প্রদান করেছে, যা অন্যান্য ব্যাংকের কাছে ছিল উদাহরণ।

শতভাগ রাষ্ট্র মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকে অন্যান্য রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের অনুরুপ চাকুরী বিধিমালা অনুসরণ করা হয়, যা বেসরকারি মালিকানার ব্যাংকের সাথে পুরোপুরিভাবেই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বেসিক ব্যাংককে বিদ্যমান কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা গ্রেড নির্ধারণ এবং বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের পেনশন সুবিধা বলবৎ রয়েছে। এছাড়া, বেসিক ব্যাংকে নিয়োগ ও পদন্নোতিতে সম্পূর্ণরুপে সরকারি ব্যাংকের অনুরূপ বিধিবিধান অনুসরণ করা হয়। এছাড়া, বেসিক ব্যাংকে ১২-তম থেকে ২০-তম গ্রেডের কর্মচারীগণের স্থায়ী চাকুরী বিদ্যমান রয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেসিক ব্যাংকে সরকারি শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত ও রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

দেশের অন্যান্য সরকারি ব্যাংকের ন্যায় শতভাগ রাষ্ট্রমালিকাধীন বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উল্লিখিত বিষয়গুলোর সাথে বেসরকারি কোন ব্যাংকের সামঞ্জস্যতা নেই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ