সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েঢাকা জুড়ে রেস্তোরাঁয় প্রশাসন তাণ্ডব চালাচ্ছে : রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

ঢাকা জুড়ে রেস্তোরাঁয় প্রশাসন তাণ্ডব চালাচ্ছে : রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি

রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ঢাকা জুড়ে রেস্তোরাঁয় প্রশাসন তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে দাবি করছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। গত ২৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকে ৪২টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়াসহ বুল ডুজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, সমিতির মহাসচিব ও মুখপাত্র ইমরান হাসান। এর প্রতিকারে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো সহযোগিতা না পেয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন। পরিস্থিতি শান্ত না হলে প্রধানমন্ত্রীর কোছে রেস্তোরাঁর ছবি জমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সমিতির নেতারা।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টন আল রাজি কমপ্লেক্সে সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন। এসময় অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানীর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে সমিতির পক্ষ থেকে আগামী ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার প্রতিটি রেস্তোরাঁয় কালো পতাকা উত্তলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

রেস্তোরাঁ মালিকরা দাবি করছেন, দেশের রেস্তোরাঁ খাতকে ধ্বংস করতে এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে নিতে একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। এর আগে একই প্রক্রিয়া বেকারি শিল্পকে ধ্বংস করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে।

ইমরান হাসান বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের দায় কেউ এড়াতে পারে না। পুরো ভবনটি ছিল অনিয়মে ভরা। তবে এর থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের সমাধানের পথ বের করতে হবে। আমরা দেখেছি, তৈরি পোশাক খাতে রানা প্লাজার ঘটনার পর সারা বিশ্ব ও ক্রেতারা নড়েচড়ে বসেছিল। পোশাক খাতের সেই দুর্দিন এখন আর নেই। তারা একর্ড ও এলায়েন্সসহ দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে সমস্যার সমাধান করেছে। আজ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প বিশ্বে নিরপদ কর্মক্ষেত্রের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

আমরা চাই সে রকম একটি নিয়ম ও নিরাপদ রেস্তোরাঁ গড়ে তুলতে। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিয়তার স্বার্থে সরকার হোটেল রেস্তোরাঁ খাতের সবাইকে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সদস্যপদ বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ করার জন্য গেজেট প্রকাশ করেছে। যা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেই। সরকারের গেজেট নির্দেশনা ও প্রজ্ঞাপন মোতাবেক হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদান, নবায়নসহ ব্যবসায় সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। যাতে রেস্তোরাঁ ভবন, ক্রেতার জীবন নিরাপদ থাকে এবং নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়ন সহজ হয়।

ইমরান হাসান বলেন, দেশের রেস্তোরাঁ খাতে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁ এবং ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। এ খাতের ৯৫ ভাগ কর্মী অদক্ষ। দেশের ৪৯৫টি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে সেখানে হোটেল ব্যবস্থাপনা বিষয় চালু করে দক্ষ জনবল তৈরি করা জরুরি। বহু বছর থেকে রেস্তোরাঁ খাতে সমস্যা নিয়ে সরকারি দপ্তর, সংস্থা, কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হয়েও কোনো সহযোগিতা পাইনি। মনিটরিংয়ের নামে শুধু হয়রানি চলছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্কফোর্স গঠন করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে। সঙ্গে সঙ্গে রেস্তোরাঁ খাতের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইনও তৈরি হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ