শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদখেলার সময়জাতীয় দলের নতুন প্রধান নির্বাচক আশরাফ হোসেন লিপু

জাতীয় দলের নতুন প্রধান নির্বাচক আশরাফ হোসেন লিপু

প্রায় ৮ বছর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। নতুন প্রধান নির্বাচক কে হবেন তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল দেশের ক্রিকেট মহলে। নান্নুর মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা সেটাই ছিল মুল আলোচ্য বিষয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সাবেক এই অধিনায়কের মেয়াদ বাড়ালো না ক্রিকেট বোর্ড। ফলে নতুন প্রধান নির্বাচক পেল দেশের ক্রিকেট। আর এই পদে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনি দেশের ক্রিকেটের সবগুলো শীর্ষ পদ অলংকিত করেছেন। ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন। ছিলেন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এবং নানা গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে সেই গাজি আশরাফ হোসেন লিপুকে শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। আর এর ফলে অবসান হলো নান্নুর ৮ বছরের পথ চলা। একই সঙ্গে নির্বাচক কমিটি থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে আরেক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকেও। তবে বহাল রাখা হয়েছে আবদুর রজ্জাককে। সাথে নতুন যোগ হয়েছেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার হান্নান সরকার। বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন গাজী আশরাফ লিপু। ১৯৮৬ সালের সেই এশিয়া কাপ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৭টি ওয়ানডে খেলেছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। সবকটিতেই তিনি ছিলেন অধিনায়ক। ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যাটে–বলে তিনি ছিলেন দারুণ সফল। নেতৃত্বেও ছাপ রেখেছিলেন আলাদা করে। প্রধান নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুল আবেদীনের মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। এরপর বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন তিনি এবং তার প্যানেল। এই মাস পর্যন্ত দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন তারাই। আগামী মাসের শ্রীলংকা সিরিজের দল নির্বাচনও তারাই করেছেন। যা ঘোষণা করা হতে পারে দুই–তিন দিনের মধ্যে। নতুন নির্বাচক কমিটির দায়িত্ব শুরু হবে ১ মার্চ থেকে।

মিনহাজুল ও হাবিবুল নির্বাচক কমিটিতে জায়গা পান ২০১১ সালে। ২০১৩ সালে দুজনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০১৫ সালে হাবিবুলকে নারী দলের নির্বাচক করা হয়। ২০১৬ সালে জুনে সেই সময়ের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করলে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পান মিনহাজুল। হাবিবুল আবার ফিরেন নির্বাচক কমিটিতে। সেই থেকে তারা টানা দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অবশেষে সেই অধ্যায়ের সমাপ্তি হলো। বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানান, নির্বাচক কমিটিতে না থাকলেও বিসিবিতে মিনহাজুল ও হাবিবুলের অধ্যায় শেষ হচ্ছে না। আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, তারা খুব ভালো কাজ করেছে। সবাই প্রশংসা করেছে। সবাই তাদের কাজে খুশি। আমরা ঠিক করেছি, বিসিবিতে তাদেকে আমরা কাজে লাগাব এবং তাদের উপযুক্ত কোনো দায়িত্ব দেব।

নতুন প্রধান নির্বাচক হিসেবে গাজী আশরাফকে বেছে নেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন যে নামগুলি আমাদের কাছে এসেছিল, তাদের মধ্যে তার নামটিই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল এবং তাকে নিয়ে কোনো সংশয়ই ছিল না। একটি ব্যাপারই জানার ছিল, তিনি রাজি আছেন কি না। তার কাছ থেকে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর এটি নিয়ে আসলে আর কিছু ভাবতে হয়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ