বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিশামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন এ কে আজাদের

শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন এ কে আজাদের

ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হককে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। বৃহস্পতিবার আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল বিভাগে তিনি এ আবেদন করেন।

এ কে আজাদের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, রিট আবেদনে বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়নি, তাই তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া উচিত হবে না। এ কে আজাদের দাবির সমর্থনে আপিল বিভাগে প্রয়োজনীয় নথি উপস্থাপন করা হবে।

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক- এমন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর আবেদন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন জমা দেন। গত ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলের রায় দেয় ইসি। শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।

৮ ডিসেম্বর আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, নৌকার প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডের নাগরিক। স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ তথ্য-উপাত্তসহ লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল না করে বৈধ ঘোষণা করেন। শামীম হক সম্প্রতি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করতে ফরিদপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে দরখাস্ত দিয়েছেন। দরখাস্তে দ্বৈত নাগরিকত্বের ঘরে তিনি টিক মার্ক দিয়েছেন। ২৬ নম্বর কলামে অন্য দেশের নামের জায়গায় নেদারল্যান্ডস উল্লেখ করেছেন। একজন বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে পারেন না। এফিডেভিটে এ তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কথা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে একই দিন সন্ধ্যায় শামীম হক বলেন, ‘আমি নেদারল্যান্ডের নাগরিক ছিলাম। তবে সম্প্রতি আমি ওই নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের জন্য দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। নেদারল্যান্ডের দূতাবাস জানিয়েছে, আমার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ