মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিবিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু গ্রেফতার

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু গ্রেফতার

বিএনপির অন্যতম নেতা ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

ডিবি গুলশান জোন রাজধানীর গুলশান ২এর ৮১ নাম্বার রোডের ৮/এইচ এর বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

আমীর খসরুর গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদারও। এক বার্তায় তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছেন।

গোপন খবরের ভিত্তিতে আমীর খসরুকে গ্রেফতারে গুলশানের ৮১ নম্বর সড়কের ওই বাসা ঘিরে ফেলে ডিবির পুলিশের সদস্যরা। এরপর গ্রেফতারের পর রাত ১টা ১৫ মিনিটে তাকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। গত ২৮ অক্টোবরের নাশকতা মামলায় আমীর খসরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে বুধবার (১ নভেম্বর) মধ্যরাতে গুলশান থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তাদের আদালতে তোলা হয়।

রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতা ও পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের মামলায় আদালত তাদের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রিমান্ডে নেয়া বাকি আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও গোলাম কিবরিয়া।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। মহাসমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে সরকার বিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এরপর দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এসময় কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালানো হয়। রাজারবাগ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের অস্ত্রও ছিনতাই হয়।

এদিন এক পুলিশ সদস্যও নিহত হন। এ ঘটনায় গত রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা হয়।

এ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও আহমেদ আজম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীকে আসামি করা হয়।

এরপর থেকে দলটির প্রায় সব নেতাই আত্মগোপনে ছিলেন। মামলার পরই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এরপর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের উভয়কে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

আমির খসরুও একই মামলার আসামী হওয়ায় এবার তাকেও গ্রেফতার করা হলো। তবে কখন নাগাদ তাকে আদালকে হাজির করা হবে কিংবা রিমান্ড চাওয়া হবে কিনা এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ