বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের মধ্যে মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস চলাচল। নিরাপত্তা শঙ্কায় মহাসড়কে গাড়ি নামাতে সাহস পাচ্ছেন না বাস মালিকরা। তবে চট্টগ্রাম নগর ও অভ্যন্তরীণ উপজেলাগুলোতে গণপরিবহন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে নগরের বিভিন্ন আন্ত:জেলা টার্মিনাল ঘুরে বড় বড় বাস ও চেয়ারকোচগুলোকে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এরমধ্যে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
তবে অবরোধের মধ্যে টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামের অভ্যন্তরীণ উপজেলাগুলোতে মিনিবাস, হিউম্যান হলার স্বাভাবিক চলাচল করছে। এছাড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে চলছে পণ্যবোঝাই ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানও।
চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, অভ্যন্তরীণ রুটের গাড়ি চললেও নিরাপত্তার শঙ্কায় চলছে না দূরপাল্লার বাস। আজ (মঙ্গলবার) সকালে ও গতকাল রাতেও কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। যার কারণে শঙ্কায় রয়েছে বাস মালিকেরা।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লাসহ দেশের ১১৭টি রুটে নিয়মিত যানবাহন ছাড়ে। এর মধ্যে ৭-৮টি রুটে যানবাহনের সংখ্যা বেশি। নগরের বিআরটিসি বাস টার্মিনাল, শুভপুর বাস স্ট্যান্ড, কদমতলী বাস স্ট্যান্ড, তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকা, একে খান মোড়, অলংকার, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব যানবাহন ছেড়ে যায়নি।
এদিকে অবরোধের মধ্যেও যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য পরিবহনে পুলিশের সহায়তা চাইছে তাদের পণ্য পুলিশ পাহারায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে পণ্যবোঝাই পরিবহন সবচেয়ে বেশি চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। তারা বলছেন, যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তারা সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন।
সোমবার রাত ৯টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলার অংশে মহাসড়কের দুই পাশে টহলে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪ প্লাটুনের আটটি গাড়ি।
বিজিবি চট্টগ্রাম আট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মিলসরাই উপজেলায় চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দুই প্লাটুন করে মোট চার প্লাটুনে আটটি গাড়ি করে রাত নয়টা থেকে টহল দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা।