বুধবার, মে ৮, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনবঙ্গবন্ধু, দেশ ও জাতির গৌরবগাঁথা ইতিহাস শিশু কিশোর ও শিক্ষার্থীদের জানতে হবে:...

বঙ্গবন্ধু, দেশ ও জাতির গৌরবগাঁথা ইতিহাস শিশু কিশোর ও শিক্ষার্থীদের জানতে হবে: এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম

বাংলাদেশ মুক্তযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা যে বিষয়েই অধ্যয়ন করুক না কেন তাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ, ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ ও জাতির গৌরবগাঁথা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহৎ অর্জন সম্পর্কে জানতে হবে।FB_IMG_1692201414063

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তাঁর আদর্শ আছে। সেই আদর্শ নিয়েই বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত সম্দ্ধৃ বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের সুরক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। আগামীতে ২০৪১ সালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ আমরা গড়তে চাই এবং আজকের শিশুরাই হবে সেই আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী। যারা এই বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা শিশুদের ভালবাসতেন এবং শিশুদের জন্য তাঁর অত্যন্ত দরদ ছিল এবং শিশুদের সঙ্গে খেলা করতেও তিনি ভালবাসতেন। শিশুরা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যত এবং তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।

পুরস্কৃত শিশু-কিশোরদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য যে অনবদ্য ছবি এঁকেছে, তা সত্যই বিস্ময়কর। আশা প্রকাশ করেন, নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে মনের মধ্যে লালন করবে এবং ভাল মানুষ ও ভাল নাগরিক হিসাবে নিজেদের গড়ে তুলবে।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, প্রকৃত ইতিহাস জানলে শিশু-কিশোরেরা যেমন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে, স্বার্থপরের মতো নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে দেশের জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণে কিছু করার একটা আগ্রহের সৃষ্টি হবে, একটা চেতনা আসবে। যেটা আমাদের জন্য খুবই দরকার।
এতে করে তাদের মেধা, জ্ঞান, শৈল্পিক মন ও মনন বিকশিত হবে। তারা কে কোন ব্র্যান্ড পরবে বা ধনসম্পত্তির পেছনে কেবল ছুটে বেড়াবে না।

বয়সে অনেক ছোট হলেও শেখ রাসেলের হৃদয়টা ছিল অনেক বড় ও উদার। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের প্রতি ছিল তার প্রগাঢ় ভালোবাসা। শিশু বয়সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর মানসিকতা ছিল তার মধ্যে।বয়সে অনেক ছোট হলেও শেখ রাসেলের হৃদয়টা ছিল অনেক বড় ও উদার। শেখ রাসেল হোক আগামী প্রজন্মের শিশুদের অনুপ্রেরণা।

তিনি আরও বলেন, অনেক দিবস পালন করলেও সে দিবসের মাহাত্মটা কী, ইতিহাসটা কী—অনেক সময় দেখা যায় আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে পারে না। কাজেই দেশের সঠিক ইতিহাস প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আরও নজর দেওয়া দরকার।

৭৫-এর পরে ২১ বছর তরুণ প্রজন্মকে দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি বরং ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। ফলে অনেকেই আশপাশ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়-পরিজন থেকে পরিপূর্ণ বা সঠিক ইতিহাস জানতে পারেনি।

আমাদের এত সুন্দর একটা দেশ দিয়েছে, সেখানে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের সবার মধ্যে এ শৈল্পিক চেতনাটা রয়েছে এবং যার বিকাশটা দরকার। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ মুক্তযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, মো: আব্দুল মান্নান, শিশু কর্মকর্তা মোছলেহ উদ্দিন, রাইসুল ইসলাম চৌধুরী এমিল, আলাউদ্দিন, রিয়াজুর রহমান চৌধুরী।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ