শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস উদ্ধার

বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাস উদ্ধার

বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার ভেতরে কোন মৃতদেহ মেলেনি। সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে ওয়াটার বাসটি উদ্ধারের কথা জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর তৈলঘাটে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচ থেকে ছয় জন নিখোঁজ রয়েছেন; এমন দাবি উঠেছে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে। নিখোঁজদের উদ্ধারে নদীতে তল্লাশি অভিযান চলবে বলেও জানান বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান।

কমডোর আরিফ আহমেদ আরও জানান, ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধারে ভোরে পোস্তগোলা ব্রিজের কাছে এসে পৌঁছায় উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম। উদ্ধারকারী জাহাজটি পোস্তগোলা ব্রিজ পার হতে না পারায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিকে পোস্তগোলা ব্রিজের নিচে টেনে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই উদ্ধার কাজ শুরু করে রুস্তম। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়। এভাবে নদীতে নিমজ্জিত ওয়াটার বাসটির উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়।

ঘটনাস্থল থেকে সময় সংবাদের প্রতিবেদক জানিয়েছেন, নদীর তীরে তুলে আনা ওয়াটার বাসটির ভেতর থেকে কোনো মৃতদেহ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এদিকে নদী তীরে কেউ রাত থেকে কেউ আবার ভোর থেকে দাঁড়িয়ে আছেন প্রিয়জনের নিথর দেহের অপেক্ষায়। এর আগে, সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। রোববার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদরঘাট শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তৈলঘাটে যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ওয়াটার বাসটি।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার ফারুক রাসেল জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। এ ঘটনায় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক শিশু ও দুজন পুরুষ রয়েছে। আর পাঁচ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে সময় সংবাদের প্রতিবেদক জানান, ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটির জানালা ছোট ছিল। যার ফলে যারা ভেতরে আটকা পড়েন, তারা বের হওয়ার জন্য কোনো পথ পাননি। তবে এ ওয়াটার বাসটিতে দুটি গেট রয়েছে। যার একটি ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীরা ভাঙতে সক্ষম হন। সেই ভাঙা গেট দিয়েই জীবিতদের উদ্ধার করা হয়। এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার ও জীবিতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ