বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
প্রচ্ছদটপপোশাক রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি বছর শেষে কমে আসার দুশ্চিন্তা বাড়ছে

পোশাক রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি বছর শেষে কমে আসার দুশ্চিন্তা বাড়ছে

দেশের পোশাক রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি বছর শেষে কমে আসার দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এতে শঙ্কা বাড়ছে বাজার সংকোচনেরও। এমন ইঙ্গিত দিয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলছে, এই চ্যালেঞ্জ যেন দীর্ঘ না হয়, সে জন্য পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যে কাজ করছেন উদ্যোক্তারা।

রফতানি আয়ে সাড়ে ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত অর্থবছর শেষ করে এখন পর্যন্ত বেশ ভালো অবস্থানেই দেশের রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাত। চলতি বছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে এ খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।

তবে মূল্যস্ফীতির ঘানি টানা সংকোচনমুখী বিশ্ব অর্থনীতি ভালো বার্তা দিচ্ছে না অন্তত আগামী ৬ মাসের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বর্তমানে এ খাতে সাময়িক সংকট চলছে। বিশ্বব্যাপী একই অবস্থা। তবে চলতি বছর কিছুটা সংকটের মধ্য দিয়ে গেলেও ২০২৪ সালে এ খাত ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভ্যস্ত উদ্যোক্তারা বলছেন, উৎপাদনশীলতা আর বাজার উপযোগিতা বৃদ্ধি করে রফতানি আয়ের চাকা সচল রাখতে কাজ করছেন তারা।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণের কাজ করা হচ্ছে। ম্যানমেইড ফাইবারের রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। দেশে তৈরি ম্যানমেইড ফাইবারের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ঘুরে দাঁড়ানোর এই সমীকরণে নতুন করে যেন ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ভাবমূর্তি সংকটে না পড়ে; সে জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বিশ্ববাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। যার প্রভাব পড়বে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তৈরি পোশাক খাতেও। এ খাতের সম্ভাবনা বাড়াতে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকা প্রয়োজন। দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ ও উন্নয়নের চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

আর আগামীর বাণিজ্য শঙ্কা দূর করতে বিদেশে দূতাবাসগুলোকে দূরদর্শী নীতি অনুসরণ করে উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ