শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপসংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী

সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। অসুস্থতাজনিত কারণে তার সাজা স্থগিত করে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সুস্থ হয়ে খালেদা জিয়া এখন রাজনীতি করতে চাইলে তাকে আগে সাজার বাকি অংশ ভোগ করতে হবে। এটিই হচ্ছে আইনের বিধান।

রোববার (১১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ল’ রিপোর্টাস ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ‘মিট দ্যা রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ‘খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কিনা’—অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তিনিও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নৈতিক স্খলনের জন্যে কেউ যদি দুই বছর বা তার বেশি দণ্ডপ্রাপ্ত হন, তবে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না।

১০ বছর পরে জামায়াতে ইসলামীর মাঠে নামা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমাবেশের অনুমতি দিয়ে থাকে। উনারা কী বিবেচনায় দিয়েছেন, আমার মনে হয় এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে ভালো হবে।

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়াধীন, আবার তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছেন। এটা সাংঘর্ষিক কি না?- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাব্যস্ত না করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত জামায়াতকে দোষী বলা যাবে না।

আইনমন্ত্রী, বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যেসব তথ্য এসেছে, তাতে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত আছে। এ-সংক্রান্ত আইনটি সংশোধনের জন্য কিছুদিনের মধ্যে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ বাতিল করেছে’—গণমাধ্যমকর্মীর এমন বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে কনসেপ্ট, এটা ধারণ করা হয়েছিল তার কারণ হচ্ছে, বিএনপি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে যতগুলো উপনির্বাচন হয়েছে সবগুলোতে ভোট চুরি এবং মামলার সব ইতিহাস আপনারা জানেন। সেই কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি অনুচ্ছেদ সংবিধানে ঢোকানো হয়েছিল।

‘হাইকোর্টে যখন এটা চ্যালেঞ্জ করা হয় তখন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রায়ে বলে দেন—তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে অনুচ্ছেদ সংবিধানের ঢোকানো হয়েছিল সেটি সংবিধানসম্মত নয়, সংবিধানবিরোধী। এটি যখন আপিল বিভাগের যায়, তখন একই রায় হয় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান অবৈধ ও সংবিধান বহির্ভূত বলা হয়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন করে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাদ দেওয়া হয়,’ বলেন আইনমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার। এতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ