বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েপ্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম

প্রথমবারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম

আগামী ১৩ এবং ১৪ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিল (সিডব্লিউইআইসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ঘোষণা করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুক্তরাজ্যের হাউস অফ লর্ডসের সদস্য এবং সিডব্লিউইআইসি এর ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার কেসিএমজি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, এমপি, এবং বাংলাদেশে সিডব্লিউইআইসি-এর কৌশলগত উপদেষ্টা জিল্লুর হোসেন এমবিই।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম আয়োজিত হতে যাচ্ছে। এর আগে ইনভেস্টমেন্ট ফোরামটি কমনওয়েলথের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র যেমন; যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও মাল্টা ইত্যাদিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই কমনওয়েলথ সদস্যদের পারস্পরিক সহযোগিতার স্বপ্ন নিয়ে কমনওয়েলথে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ যখন কমনওয়েলথে যোগদান করে, তখন দেশটি যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি এবং বিধ্বস্ত অবকাঠামো নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই করছিল। সময়ের সাথে সাথে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। এই জাতির কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি ছিল কমনওয়েলথ সদস্যদের মতো উন্নয়ন অংশীদারদের সমর্থন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে কমনওয়েলথ ভুক্ত বেশ কয়েটি দেশ।

যুক্তরাজ্যের হাউস অফ লর্ডসের সদস্য এবং কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান লর্ড সোয়ার কেসিএমজি বলেন, বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কমনওয়েলথ ৫৬টি দেশের মধ্যে অপার সম্ভাবনা অন্বেষণ ও তা কাজে লাগানের একটি বিশাল সুযোগ তৈরি করেছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, কমনওয়েলথকে অবশ্যই এলডিসি, এল এলডিসি, এসআইডিএস এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দেশগুলোর চালেঞ্জ ও ঝুঁকিসমূহ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে জিএসপি সম্পর্কিত বাণিজ্যিক সুবিধার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, বেসরকারি পুঁজির প্রবাহ এবং সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহজ অর্থায়নের মতো ক্ষেত্রগুলোতে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ হলো- ৫৬টি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা অভিন্ন মূল্যবোধ দ্বারা একত্রিত। বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ কমনওয়েলথের আওতাভুক্ত দেশগুলোয় বাস করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ কমনওয়েলথের ৩৪তম সদস্য হিসেবে যোগদান করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ