আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের কারণে নিজের জীবন হুমকির সম্মুখীন বলে অভিযোগ করলেন দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। শনিবার দুপুর বারোটায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
শুক্রবার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার এবং অপরাপর শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রাতভর অভিযানের প্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রিজভী আহমেদ এ সময় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতার এবং গভীর রাতে তাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, নেতাদের গ্রেফতার করে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে বিরোধী দলের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে সরকার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেফতারের জন্য তাকেও ধাওয়া করে অভিযোগ করে রিজভী আহমেদ বলেন, তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ সময় নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে রিজভী বলেন, শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার এবং গুলশান ও পল্টনের কার্যালয়ে পুলিশের রণপ্রস্তুতির খবর পেয়ে তিনি অসহায় বোধ করেন। এক পর্যায়ে প্রেসক্লাবে তিনি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। কিন্তু যেহেতু প্রেসক্লাবের মত একটি প্রতিষ্ঠানে রাজনীতিকদের বেশিক্ষণ থাকাটা শোভা পায় না, তাই রাত সাড়ে তিনটায় প্রেসক্লাব থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। এ সময় তাকে বহনকারী গাড়িতে ওঠার সময় হঠাৎ করে বেশ কিছু লোক ধর ধর বলে চিৎকার করতে থাকে। তিনি দ্রুত গাড়িতে উঠে রওয়ানা হলে, তার গাড়ির পিছু ধাওয়া করে দুই তিনটি মাইক্রোবাস।
এ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া তার জীবনে বিরল। এ পরিস্থিতিতে নিজের জীবনের ওপর হামলার শঙ্কা অনুভব করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ১৮ দলের ৭২ ঘণ্টার কর্মসূচি ঘোষণার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য ৫ কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হানা দেয় মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ আরও বেশ কয়েকজন নেতার বাড়িতে।