সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েআগামীতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প হবে দেশের অন্যতম রপ্তানী খাত

আগামীতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প হবে দেশের অন্যতম রপ্তানী খাত

আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে, বিডা’র কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমস্যা এবং সম্ভাবনাঃ বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে তুলনামূলক সমীক্ষা চুড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন  বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব লোকমান হোসেন মিয়া, উক্ত কর্মশালায়া সভাপতিত্ব করেন বিডার নির্বাহী সদস্য মিজ মোহসিনা ইয়াসমিন, এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রেসিডেন্ট মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) এবং জনাব আবদুল্লাহেল বারী, সভাপতি এসোশিয়েসন অফ এক্সপোর্ট অরিয়েন্টেড শিপ বিডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অফ বাংলাদেশ ।

 কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্ত্যবে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) জনাব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, মননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, আমাদের মাথাপিছু আয় ৭৫০ মার্কিন ডলার থেকে ২৮৪০ ডলারে উপনীত হয়েছে। এখন আমাদের সামনে লক্ষ্য উন্নত বাংলাদেশ, ইতোমধ্য আমরা রেডিমেট গার্মেন্টসসহ বেশ কয়েটি সেক্টরে অভুতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছি  ও বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড বাংলাদেশ ভ্যালু প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। এখন আমরা আমাদের সম্ভাবনাময় সেক্টরগুলোর প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য নীতিমালাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্য আমরা ফার্নিসার, বাইসাইকেল , প্লাস্টিক প্রভৃতি শিল্পের ব্যাপারে পদক্ষপ গ্রহণ করেছি। যেহেতু আমাদের রয়েছে বিশাল সমুদ্র সেহতু ব্লু-ইকোনমি আমাদের অন্যতম সম্ভাবনার যায়গা, শিপিয়ার্ড ও শিপবিল্ডিং সেক্টরের উন্নয়ন ছাড়া ব্লু-ইকোনমি যথার্থ সুফল কোন ভাবেই পাওয়া সম্ভব নয়। সেইজন্য আমরা শিপিয়ার্ড ও শিপবিল্ডিং সেক্টরের প্রতিবন্ধকতা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষা চালিয়েছি, এই প্রতিবন্ধকতা ও  চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলেই, আগামীতে শিপবিল্ডিং সেক্টর হবে দেশের অন্যতম রপ্তানী খাত, কেননা বিশ্ব বাণিজ্যের শতকরা ৮০ ভাগ বাণিজ্য সংগঠিত হয়  সমুদ্র পথে। এসময়ে তিনি  জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিদের সাথে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের প্রতিবন্ধকতা, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, জাহাজ নির্মাণ শিল্পের নীতিমালা, ব্যাংক লোন, বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণসহ মতবিনিময় করেন।

 কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই), এর প্রেসিডেন্ট   মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে জাহাজ নির্মাণ শিল্প থেকে বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় প্রতিবছর প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা আয় করে, এপর্যন্ত  প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের জাহাজ  এক্সপোর্ট হয়েছে, যেটি ২০২৬ সালে দাঁড়াবে ৬৫০ মিলিয়ন ডলারে , আমরা যদি প্রতিবন্ধকতা দূর করে আমারা আমাদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারি তাহলে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে ২০৪০ সালে এই শিল্প থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।  এসময়ে তিনি, জাহাজ শিল্পের জন্য লং টার্ম ব্যাংক লোন এবং  বাংলাদেশ ব্যাংক হতে এক্সপোর্ট ট্রেডিং গ্রান্ডিং কথা তুলে ধরেন।

 এসময়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  এসোশিয়েসন অফ এক্সপোর্ট অরিয়েন্টেড শিপ বিডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অফ বাংলাদেশের সভাপতি জনাব আবদুল্লাহেল বারী বলেন, নিঃসন্দেহে শিপবিল্ডিং সেক্টর (জাহাজ নির্মাণ শিল্প) ব্লু ইকোনমির  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন খাত, শিপ বিল্ডিং সেক্টরের উন্নয়ন  ছাড়া ব্লু-ইকোনমি সঠিক ভাবে বিকশিত হওয়া সম্ভব নয়।  পার্শবর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের জাহাজ নির্মাণ খরচ প্রায়  ১৫% কম , কিন্তু জাহজ নির্মাণ  শিল্প একটি দীর্ঘ মেয়াদি প্রক্তিয়া , একটি জাহাজ তৈরিতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ বছর ফলে এলসি ফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত সমস্যার সৃষ্টি হয়,  জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নের জন্য এ ধরনের সমস্যা আমাদের প্রথমেই নিরসন করা উচিত।

কর্মশালায়া সভাপতিত্ব বক্তব্যে বিডার নির্বাহী সদস্য মিজ মোহসিনা ইয়াসমিন সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমস্যাগুলো দূর  এবং সম্ভাবনার নিরিখে আমাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্ঠা , পরামর্শ ও যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমের ভবিষ্যতে জাহাজ নির্মাণ শিল্প সফল ভাবে বিকশিত হবে।

 কর্মশালায় শিপবিল্ডিং সেক্টররে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করে তাদের সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ