জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে এ বার নিজে পড়ে তিনি পুরো প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন না। অডিও ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে এবারের বাজেট উপস্থাপন করা হচ্ছে। বাজেট উপস্থাপনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বাজেট উপস্থাপনের অনুমতি চেয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন: মাননীয় স্পিকার এ পর্যায়ে আমার বাজেট বক্তৃতাটি অডিও ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে এ মহান সংসদে্ উপস্থাপন করছি। পূর্ণাঙ্গ বাজেট বক্তৃতাটি বিস্তারিত তথ্যাদিসহ টেবিলে উপস্থাপিত আছে। এটাকে পঠিত বলে গণ্য করার জন্য আপনার কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি। বৃহস্পতিবার ১ জুন বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার পঞ্চম বাজেট।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা বর্তমান বাজেটের চেয়ে ১২ দশমিক ৩/৪ শতাংশ বড়। এই বিশাল ব্যয় মেটাতে আয় ধরা আছে প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৫ কোটি যা জিডিপির ৫.২%। বছর শেষে জিডিপির আকার হবে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭.৫% আর মূল্যস্ফীতি ৬%।
বর্তমান মেয়াদে সরকারের পঞ্চম ও আগামী নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের তিন মেয়াদের টানা ১৫তম বাজেট এটি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনে দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর দেন। অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দেবেন তার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে।