শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদইসলাম ও জীবনহাবের মধ্যস্থতায় হজে পাঠানো হচ্ছে সেই তিন হজ এজেন্সির ৮২৩ জনকে

হাবের মধ্যস্থতায় হজে পাঠানো হচ্ছে সেই তিন হজ এজেন্সির ৮২৩ জনকে

নয় লাখ রিয়াল নিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন কোবা এয়ার ইন্ট্যারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান এবং তার ছেলে ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। তাদের অধীনে ৮২৩ হজযাত্রীর ১ জুন সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। কিন্তু মালিক আটক হওয়ায় ওই তিন হজ এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত ৮২৩ জনের হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।

তবে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মধ্যস্থতায় তাদের সৌদিতে পাঠানো হচ্ছে। আপাতত তিন ধাপে ২৭২ জনকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে এজেন্সির মালিকরা মুক্তি পেলে বাকিদের বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। না হয় হাব বাকিদের হজে পাঠাবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সভাপতি।

এ বিষয়ে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম  বলেন, আপাতত ২৭২ জনকে তিনটি ফ্লাইটে হজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরমধ্যে মালিকদের মুক্তি হয়ে গেলে বাকিরা মালিকদের তত্ত্বাবধানে যাবে। আর মুক্তি না হলে হাব পর্যায়ক্রমে বাকিদের হজে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, মালিক গ্রেপ্তার হয়েছে এজন্য তো হজযাত্রীরা দায়ী না। তাদের হজের পাঠানোর জন্য হাব দায়িত্ব নিয়েছে। আগামী ২ জুন, ৪ জুন এবং ১৫ জুন এই তিন ধাপে মোট ২৭২ জন হাজীকে হজে যাওয়ার ফ্লাইটের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এর আগে ২৬ মে সৌদিতে আটক হন দুইজন মালিক। তারা তিন এজেন্সির মালিক। তাদের কাছে ৯ লাখ রিয়াল পাওয়ায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন।

জানা গেছে, আটক হওয়া এজেন্সির মালিক ও তার ছেলে তিনটি এজেন্সির হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পাঠানোর জন্য কাজ করছিলেন। তাদের আটকের ফলে সৌদি আরবে সেখানকার প্রস্তুতিমূলক কাজে সমস্যা দেখা দেয়। এ অবস্থায় ৮২৩ হজযাত্রী হজ

অ্যাসোসিয়েশনে যোগাযোগ করলে তাদের প্লেনের টিকিট সংগ্রহের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়াসহ ফ্লাইটের তারিখ ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এরমধ্যে প্রাথমিক তিন ধাপে ২৭২ জনকে হজে পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ