শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদটপশুরু হলো এমআরটি লাইন ফাইভের নর্দান রুটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা

শুরু হলো এমআরটি লাইন ফাইভের নর্দান রুটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা

শুরু হয়েছে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন ফাইভের নর্দান রুটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। মঙ্গলবার (২৩ মে) এ প্রকল্পের ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নের জন্য জাপানি টোয়া কোম্পানির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

উড়াল-পাতাল মিলিয়ে হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এ প্রকল্পের মাধ্যমেই তুরাগের নিচে হবে দেশের প্রথম রেলপথ। তবে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে এ প্রকল্পে দুর্ভোগ অনেকটা কম হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এম এ এন সিদ্দিক বলেন, অত্যন্ত অ্যাডভান্স টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। এটি ব্যবহারের ফলে সেই জায়গায় ভোগান্তি কিছুদিনের জন্য হবে। দুর্ভোগ অনেকটা কম হবে। জুলাই মাসে মূল অংশের কাজের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করার কথা আছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।

এমআরটি লাইন ফাইভ। লাইন ওয়ানের পর এটাই হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় উড়াল রেল। শুরুটা ভাটারা থেকে, এরপর বলিয়ারপুর, বিলামালিয়া, আমিনবাজার। প্রথমে এ চারটি স্টেশন হবে উড়াল। পাঁচ নম্বর স্টেশন গাবতলী থেকে পাতাল। আর তাতেই এই মেট্রো লাইন পাড়ি দিতে হবে তুরাগ নদ দিয়ে, যা কিনা হতে যাচ্ছে মাটির তলদেশে দেশের প্রথম রেলপথ।

গাবতলী থেকে দারুস সালাম, মিরপুর-১, ১০, ১৪। কচুক্ষেত হয়ে ক্যান্টনমেন্টের নিচ থেকে বনানী এরপর গুলশান-২ হয়ে নতুনবাজার। আর সবশেষ স্টেশন ভাটারা হবে আবার এলিভেটেড।

মঙ্গলবার প্রকল্পের প্রথম ধাপ সিপি ওয়ান অর্থাৎ ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নের জন্য জাপানি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চাও করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করে ডিএমটিসিএল। যৌথভাবে এই প্রকল্পে যুক্ত আছে দেশীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এক্সপেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। আধুনিক বোরিং পদ্ধতিতে কাজ হওয়ার কারণে এ প্রকল্পে জনদুর্ভোগ অনেকটা কম হবে বলে জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ১০টি প্যাকেজে ভাগ হয়ে করা হবে এই প্রকল্পের কাজ।

মূল কাজ জুলাই নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও চেষ্টা থাকবে নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করার, জানান সেতু সচিব।  জাইকার অর্থসহায়তায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই পথে থাকবে মোট ১৪টি স্টেশন। প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ