শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনআন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শাহ্ আমানত বিমানবন্দর

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শাহ্ আমানত বিমানবন্দর

ষ্টাফ রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

১৩ বছর পর বিশ্বমানের বিমানবন্দরের স্বীকৃতি পেল চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।  আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও) এ স্বীকৃতি দিয়েছে।আইকাও’র স্থানীয় প্রতিনিধি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসেন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শাহ্ আমানত বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নূর-ই-আলমের কাছে সনদ তুলে দেন। 

তিনি বলেন, এতোদিন দেশীয়ভাবে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও এখন এ বিমানবন্দর বিশ্বমানের স্বীকৃতির সনদ পেয়েছে। এর মাধ্যমে বিমানবন্দরটি প্রকৃতপক্ষেই বিশ্বমানের হলো।আইকাও’র দেওয়া সনদ তুলে দিয়েছেন জানিয়েছে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আগামী রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।  

নূর-ই-আলম জানান, গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ৫ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষক দল বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসে। পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বীকৃতি সনদ প্রদান করে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইকাও)। 

প্রতিনিধি দলে ছিলেন-পর্যবেক্ষক দলের চেয়ারম্যান ও বেবিচকের ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স বিভাগের পরিচালক এস এম নাজমুল আনাম। সদস্যরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম মাকসুদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী সুভাশীষ বড়ুয়া, শিরিন সুলতানা ও আইয়ুব খান।

বিমান বন্দর সূত্র জানায়, ১৯৪০ এর দশকে ব্রিটিশ শাসনামলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরটি তৈরি হয়। তখন চট্টগ্রাম এয়ার ফিল্ড হিসেবে এ বিমান বন্দর পরিচিতি পায়। এরপর বিমানবন্দরটির উন্নয়নে আর কোন কাজ হয়নি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৭-৭৮ সালে ৭৬২ মিটার প্রস্থ ও  তিন হাজার ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যর রানওয়ে তৈরি করা হয়। 

১৯৮৪-৮৫ সালে রানওয়ের আশপাশ বর্ধিত করা হয় ও কার্পেটিং করা হয়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর টামির্নাল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করা হয়।

এ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৯৬ সালে। এ সময় কারিগরি ও আর্থিক সহায়তার জন্য জাপান সরকারের সঙ্গে সহযোগীতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তির আলোকে ১৯৯৮ সালের ১২ মার্চ উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। ১১ ডিসেম্বর ২০০০ সালে উন্নয়ন কাজ শেষ হয়। 

এরপর চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ঘোষণা দেওয়া হলেও আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) কোনো স্বীকৃতি ছিল না এ বিমান বন্দরের।

ফলে গত মাসে স্বীকৃতি সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইকাও। সে অনুযায়ী ২৯ অক্টোবর আইকাও’র স্থানীয় প্রতিনিধি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিমানবন্দরটি পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। 

প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রামে তিনদিন অবস্থান করে বিমান বন্দরের যাবতীয় পরিচালন, গ্রাউন্ড এইড, রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি পর্যবেক্ষণ করেন। 

এরপর পর্যবেক্ষণের উপর একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন আইকাওয়ে পাঠানো হয়। আইকাও প্রতিবেদন দেখে বিশ্বমান ও নিরাপদ বিমানবন্দরের স্বীকৃতি সনদ প্রদান করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ