বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপযুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে গিয়েছি, বিএনপির মতো পদলেহন করি না: তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে গিয়েছি, বিএনপির মতো পদলেহন করি না: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল তার বাসায় গিয়েছিল। তবে বিএনপির মতো পদলেহন করতে আমরা গিয়ে রাত-বিরাতে সেখানে বসে থাকি না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়েছে। এতে বিএনপি নেতারা বলেছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিএনপিই নাকি কূটনৈতিকদের বাসায় ধরনা দেয়। তাহলে আওয়ামী লীগ নেতারা কেন গেল?

এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মধ্যাহ্নভোজের। সেখানে আমাদের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল গেছে। আমরা বিএনপির মতো তো রাত-বিরেতে গিয়ে ধরনা দেই না। তাদের আমন্ত্রণে আমরা গেয়েছিলাম।

যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র; গত ৫১ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে তাদের অবদান আছে। নিরাপত্তা থেকে জঙ্গি দমনে তারা আমাদের সহযোগিতা করছে। বহুমাত্রিক সহযোগিতা তাদের সঙ্গে আছে। সেই দেশের রাষ্ট্রদূত যখন আমন্ত্রণ জানান, সেখানে তো যেতেই হয়। সেজন্যই আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গেছে। তাদের মতো রাত-বিরেতে গিয়ে আমাদের কেউ পদলেহন করে না, যোগ করেন মন্ত্রী। এ সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রদফতরের দেয়া মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিবেদন একপেশে এবং পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। যে কারণে এ প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট।

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তারা এ আন্দোলন করেছে। ২০১৪ সালে তাদের আন্দোলনের নমুনা আমরা দেখেছি। যখন বিএনপি আন্দোলনের কথা বলে, তখন পেট্রোল বোমার কথা মনে পড়ে, তখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মহোৎসবের কথা মনে পড়ে। তাদের সেই কাজ আবার বাংলাদেশের মানুষ করতে দেবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও কখনও ফিরে আসবে না।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি কথাটি এভাবে বলতেন, তাহলে ভালো হতো—বিএনপির মধ্যে ভয়ঙ্কর সংকট চলছে। এটিই হচ্ছে বাস্তবতা। দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই।

বিএনপির সংকটের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তাদের চেয়ারপারসন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক। তারপর তাদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মানতে নারাজ। আবার অনেকেই আছেন, যারা মির্জা ফখরুলের নেতৃত্ব মানতে নারাজ। তো তাদের মধ্যে ভয়াবহ সংকট আছে। তিনি (ফখরুল) সেই কথা বললেই সঠিক হত। দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই।

হ্যাঁ, বিএনপির অর্জন আমরা ধ্বংস করেছি, সেটি সঠিক। তারা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আমরা সেখান থেকে সরে এসেছি। বিএনপির অর্জন হচ্ছে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ৫০০ জায়গায় একযোগে বোমা হামলা, তাদের সৃষ্টি হচ্ছে শায়খ আবদুর রহমান। সেগুলো এখন এদেশে নেই। সেই বিচারে বিএনপির সেসব অর্জন ধ্বংস হয়েছে বলেন, হাছান মাহমুদ।

বিএনপির এসব অর্জন ধ্বংস করতেই আমরা কাজ করেছি এ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করেছে। যা আজ সমগ্র বিশ্ব সম্প্রদায় স্বীকার করে নিয়েছে। পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বক্তৃতা দেয়া হয়। পাকিস্তানের টেলিভিশনে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার ঝড় বয়। তাদের নিজেদের সমালোচনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিার প্রশংসার ঝড় ওঠে।

সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট চলছে। বিএনপি সরকারের আমলের সব অর্জন সব ধ্বংস করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শাহেনুর মিয়া বলেন, মহান বিজয় দিবস ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত প্রবন্ধ নিয়ে এ সংকলন করা হয়েছে। আজ তার মোড়ক উন্মোচন করা হলো। আমরা নিয়মিত এ ধরনের সংকলন বের করে থাকি। দেশে এ ধরনের শ্রেণির দিবস আছে তেরোটি। এসব দিবসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের লেখা ক্রোড়পত্রে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও বি-শ্রেণির দিবস আছে ৩৩টি, সি-ক্যাটাগরির দিবস আছে ৩৪টি। এ দিবসে ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত লেখাগুলো যাতে কালের গর্ভে হারিয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতেই আমরা এই সংকলন বের করছি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ