শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদটপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে রিট : শুনানির জন্য হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চ

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে রিট : শুনানির জন্য হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চ

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা দুটি রিট আবেদন শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে কার্যতালিকায় রয়েছে।

এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক রিট দায়ের করেন আইনজীবী এমএ আজিজ খান ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী। তবে গত ১২ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট দুটির শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি রিট আবেদনটি দুটি নতুন বেঞ্চ নির্ধারণের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।

এ সময় বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর দুদকের আইনজীবী ছিলাম। যেহেতু এই রিট আবেদনে দুদকের প্রশ্ন জড়িত, এ কারণে রিট আবেদনটি শুনতে বিব্রত বোধ করছি। এরপর রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
এর আগে গত ৭ মার্চ রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। তিনি বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে জারি করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ এর ৭ ধারা অনুসারে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে যোগ্য মনোনীত করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানিয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ওই রিটকারী আইনজীবী। পরে নোটিশের জবাব না পেয়ে তিনি রিট দায়ের করেন। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ