শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদফিচারআরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স-আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন উদ্যোগ

আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স-আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন উদ্যোগ

বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গার  মিয়ানমারে নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান। মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব তবে এই বিষয়ে অগ্রগতি তেমন আশাব্যঞ্জক নয়।মিয়ানমারের স্বাধীনতার পর থেকে চলমান নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা একটু দেরিতে হলে ও বুঝতে পেরেছে যে সক্রিয় ভাবে এই সমস্যা মোকাবেলা করতে হলে তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ২০১৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী কোন দল বা সংগঠনের পক্ষ থেকে সরব, নিয়মিত উপস্থিতি ও কার্যকরী ভুমিকার অভাব  রয়েছে। নিপীড়িত ও নির্যাতিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মর্যাদারসাথে বেঁচে থাকার অধিকার নিরাপদ এবং নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে এধরনের কয়েকটি নেতৃস্থানীয় সংগঠন এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র রাজনীতিবিদদের নিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (এআরএনএ)নামে একটি বৃহত্তর জোট গঠন করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে এ রকম সংস্থাগুলোর নিজেদের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা স্বার্থ তুলে ধরতে সেসব সংস্থাকে কোন কার্যকরী ভুমিকা রাখতে দেখা যায়নি। মিয়ানমারের একটি নতুন ফেডারেল গণতান্ত্রিক ইউনিয়নে তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন। এআরএনএ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান লুইনের মতে সামনের দিনগুলোতে সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়িয়ে দাবী আদায়ই হবে রোহিঙ্গা নেতৃত্বের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

আশা করা যায় যে, এআরএনএ মিয়ানমারের ফেডারেল ইউনিয়নের মধ্যে রোহিঙ্গা জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জনের জন্য দেশে এবং বিদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা নেতাদেরকে একত্রিত করবে। এআরএনএ নেতৃত্ব জানায় যে, রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় এবং তারা মিয়ানমারের ভবিষ্যতের ফেডারেল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের অংশ হতে ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সব পক্ষের সাথে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। ২০১৭ সালের সংগঠিত গণহত্যা এবং নৃশংস সামরিক দমন-পীড়নের পর প্রথম বারের মত যৌথ প্রচেষ্টা হিসেবে এআরএনএ রোহিঙ্গা সংগঠন, রাজনীতিবিদ ও কর্মীদেরকে একটা অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে এবং সাধারণ রোহিঙ্গারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। এআরএনএ জানায়, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের অন্যান্য জাতিগুষ্ঠির সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসে আগ্রহী এবং তারা জাতীয় ঐক্য সরকার (এন ইউ জি) এবং ইউনাইটেড লিগ অফ আরাকান (ইউ এল এ) এর সাথে ও একত্রে কাজ করতে চায়। এআরএনএ জানিয়েছে যে রোহিঙ্গারা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের ঐক্য নীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোহিঙ্গারাও দেশের অন্যান্য নির্যাতিত জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি তাদের সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছে। জোটের নেতারা গত বছরের ২০ নভেম্বরে এই জোটের রূপরেখা অনুমোদন করে। এআরএনএ’র কার্যক্রম এখন ও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামীতে তারা দ্রুত বাংলাদেশে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বকারী যুবক ও নারীদের এই সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করবে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতা এবং কট্টর বৌদ্ধ সংগঠন গুলোর নমনীয় মনভাব অত্যাবশ্যক। এআরএনএ’র সামনে এই গুরুত্বপুর্ন কাজগুলো রয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর গঠিত এন ইউ জি, ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে তাঁদের পরিচয়ের স্বীকৃতি দিয়ে ‘পলিসি পজিশন অন দ্য রোহিঙ্গা ইন রাখাইন স্টেট’ নামে একটি অবস্থানপত্র প্রকাশ করেছে। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোর অবস্থানের পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এর আগে মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনী দাবী করে আসছিল যে ‘রোহিঙ্গা’ বলে কিছু এন ইউ জির এ অবস্থানপত্রে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতিগুলোতে রোহিঙ্গাদের প্রায় সব দাবিদাওয়ার প্রতিফলন আছে। এর পাশাপাশি আরাকানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ইউ এল এ’এর সামরিক শাখা আরাকান আর্মির (এ এ) কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল ওয়াং ম্রা নাইং জানায় তারা রোহিঙ্গাদের ‘রাখাইনের মুসলমান অধিবাসী’ এবং রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার স্বীকার করে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য এই গ্রহণযোগ্যতা রোহিঙ্গাদের প্রতি তাঁদের মনভাব পরিবর্তনের একটা ইতিবাচক অগ্রগতি। মিয়ানমারের রাজনৈতিক মহলে এবং আরাকানের স্থানীয় রাজনীতিতে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতা সংকট সমাধান ত্বরান্বিত করবে। এআরএনএ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ উদ্যোগের পক্ষে সোচ্চার হতে পারে। এই রাজনৈতিক উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের যোগ দেয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এন ইউ জি ও আরাকানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সাথে এআরএনএ নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ অব্যাহত রেখে বিভক্তি গুছিয়ে বহু যুগ ধরে চলে আসা দুই জাতিস্বত্বার সহবস্থান ও সহনশীলতা  ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে পারে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইউ এল এ এক ঘোষণায় জানিয়েছে যে, আরাকানের যেকোনো বিষয়ে বৈশ্বিক সবাইকে তাদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য এ এ’র সাথে আলোচনায় বসতে হবে এবং তখন ইউএলএ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের রোডম্যাপ তৈরি করবে[1]।চলমান প্রক্রিয়াতে এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সম্প্রতি মিয়ানমারের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে উগ্র জাতীয়তাবাদী মনোভাব ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য আলোচিত–সমালোচিত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশিন উইরাথুকে সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করেছে জান্তা সরকার। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে আসছে ভিক্ষু উইরাথু। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের মালিকানায় থাকা ব্যবসা বর্জন করা এবং মুসলিমদের সঙ্গে বৌদ্ধদের বিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে উইরাথু আলোচনায় আসে। ২০১৩ সালে বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তাঁর ছবি ছাপা হয়েছিল এবং তাঁকে ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসের মুখ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ‘বৌদ্ধদের বিন লাদেন’ নামেও উইরাথুকে অনেকে সম্বোধন করে। এন এল ডি মিয়ানমারের জাতিগত সহিংসতা বন্ধে আগে থেকেই কাজ করছিল।উগ্রবাদী বৌদ্ধ সংগঠনের কাছে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে এন এল ডির সহ প্রতিষ্ঠাতা উইন টিন ২০১৪ সালে তাঁর মৃত্যুর দুই মাস আগে মান্দালে শহরে অসিন উইরাথুর মঠে এসে তাঁর সাথে দেখা করেন, তবে তাঁদের আলোচনায় কোন অগ্রগতি হয় নাই। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো উইরাথুকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর বিদ্বেষ বাড়াতে জান্তাকে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করে জানিয়েছে যে উইরাথুর মুসলিমবিদ্বেষী ভূমিকা ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জান্তার দমনপীড়ন চালাতে সহায়তা করেছে। এআরএনএ কে এ ধরনের পরিস্থিতি নিজেদের অনুকুলে আনার জন্য কাজ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারে সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বানে প্রথমবারের মত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়, নিরাপত্তা ও মানবিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়। প্রস্তাবে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব এবং ফলশ্রুতিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টিও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা হয়। চীনের মতে রোহিঙ্গা ইস্যুটির দ্রুত সমাধান নেই এবং শেষ পর্যন্ত এটি সঠিকভাবে সমাধান করা যাবে কি না, এটি মৌলিকভাবে এবং শুধুমাত্র মিয়ানমারের উপর নির্ভর করে। রাশিয়া মিয়ানমারের পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে না এবং তাই বিশ্বাস করে যে এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারা মোকাবেলা করা উচিত নয়। ভারতও এই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে। এআরএনএকে শক্তিধর এই দেশগুলোর সাথে কাজ করে দ্রুত প্রত্যাবাসন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে পশ্চিমা দেশগুলো রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মানবিক সাহায্য দেয়ার পাশাপাশি মিয়ানমারে উপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে তাদের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। মিয়ানমার সরকার সাম্প্রতিক সময়ে কট্টর বৌদ্ধ সংগঠনের প্রধানকে পুরস্কৃত করেছে, বিষয়টি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কিনা তা দেখতে হবে। এআরএনএ’র সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাদেরকে আন্তর্জাতিক মহলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। চীন, ভারত ও রাশিয়ার মনভাব এখন  ও ইতিবাচক না বিধায় এআরএনএকে এই দেশগুলো এবং দাতা সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ রেখে সংকট সমাধানে ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।

আসিয়ান ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ রেখে বৌদ্ধ সংগঠনগুলোর মনোভাবকে নমনীয় করার চেষ্টা চালাতে হবে। নিপ্পন ফাউন্ডেশনের সাথে মিয়ানমার সরকার ও এ এ’র যোগাযোগ রয়েছে তাদের সাথেও সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য দাতা সংস্থা, জাতিসংঘ, মিয়ানমারে বিনিয়োগকারী দেশ ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাহায্য নিয়ে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ গুলোর বাস্তবায়ন করে রাখাইনের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আই সি জে, মানবাধিকার সংগঠন গুলোর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তাদের কার্যক্রম গুলো বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন ও কট্টর ও সাধারণ বৌদ্ধসংগঠনগুলোকে লক্ষ্য করে প্রেষণা মূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার চেষ্টা করতে পারে।  এআরএনএ কে এন ইউ জি, পি ডি এফ, এ এ, সুশীল সমাজ, নীতি নির্ধারক ও আইন প্রনেতা এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। শুরুতে এত কিছু করার মত অবস্থা তাদের এখনো হয়নি তবে সাংগঠনিক দৃঢ়তা ও আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে একটু দেরিতে হলে ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের মুখ দেখবে বলে আশা করা যায়। এআরএনএ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দ্রুত পরিচিতি লাভ করুক এবং তৎপর হয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ত্বরান্বিত করুক এটাই প্রত্যাশা।

ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) হাসান মোঃ শামসুদ্দীনএনডিসি,  এএফডব্লিউসি,  পিএসসিএম ফিলমিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ