শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বিমানবন্দর সড়কে অসহনীয় যানজট

বিমানবন্দর সড়কে অসহনীয় যানজট

চলছে বিশ্ব ইজতেমা। আজ ইজতেমার ১ম পর্বের আখেরি মোনাজাত। আর পরিস্থিতিতে রাজধানীর সড়কজুড়ে গণপরিবহনের সংকট দেখা গেছে।  তবে গণপরিবহন সংকট থাকলেও বিমানবন্দর সড়কে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সকাল থেকেই। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে যানজট কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টঙ্গী থেকে যানজট প্রায় বনানী-কাকলী পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। এতে করে বিমানবন্দর সড়কের অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট তৈরি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, গণপরিবহন সংকট থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন অফিসগামী যাত্রী ও সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। এই সুযোগে ভাড়া বাড়ানোর এক চিরায়ত অবৈধ প্রবণতা দেখা গেছে রাইড শেয়ারিং চালক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং রিকশাচালকদের মধ্যেও।  অন্যান্য সময়ে যে দূরত্ব ৫০টাকায় যাওয়া যেতো, আজ একই দূরত্বের ভাড়া দাবি করা হচ্ছে ১৫০-২০০ টাকা। নিরুপায় যেতে দেখা গেছে কাউকে-কাউকে।

কাকলী ফুটওভার ব্রীজের নীচে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মো. সাইমন নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। উত্তরার ২ নং সেক্টরে। ৯টায় অফিসে থাকার কথা থাকলেও ৯টা পর্যন্ত কাকলি এলাকাতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। জানতে চাইলে এসব কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ইজতেমা কেন্দ্র করে সৃষ্ট যানজটের জন্য বিপাকে পড়লাম। এখন ২-৩ গুণ ভাড়া দিয়ে যেতে হবে। কোনো উপায় নাই।

মিটার থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা কয়েকজন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের সাথে কথা হয় বাংলানিউজের। জাহাঙ্গীর নামের এক চালক বলেন, ভাই, এগুলা সব সময় হয় না। এটা মনে করেন ঈদের মত। বছরে ১-২ দিন সুযোগ আসে। অন্যদিন তো আমরাও কম নিই সেটা দেখলেন না।

একই সুরে তাল মেলালেন পাঠাও এর রাইড শেয়ারিং চালক নেহাল। তিনি অ্যাপমের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং করলেও আজ নেমেছেন ‘খ্যাপে’। তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে অ্যাপস ছাড়াই চালাই ভাই। টাকা-পয়সা কামানোর জন্যই খ্যাপে নামা। প্রতিদিন তো আর এমন হয় না।

অন্যদিকে বনানী ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরত এক সদস্য বলেন, যানজট আসলে অবধারিতই ছিল আজ। তবে সড়কে শৃঙ্খলা ধরে রাখার চেষ্টা করছি আমরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ