মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনআখতারুজ্জামান বাবুর শূন্যতা চট্টগ্রামের মানুষ অন্তর থেকে অনুভব করে : স্মরণসভায় ইঞ্জিনিয়ার...

আখতারুজ্জামান বাবুর শূন্যতা চট্টগ্রামের মানুষ অন্তর থেকে অনুভব করে : স্মরণসভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

চট্টগ্রাম অফিস (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, আখতারুজ্জামান বাবু ছিলেন বিশাল হৃদয়ের মানুষ। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি যেমন ছিলেন সফল তেমনি ছিলেন একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তাও। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি জাতীয় রাজনীতিতে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে এই নেতা স্বাধীনতা আন্দোলনে যেমন যুগান্তকারী অবদান রেখেছিলেন তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আন্দোলনে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহচর। আখতারুজ্জামান বাবুর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা মানুষ অন্তর থেকে উপলব্দি করে। গতকাল চট্টগ্রাম মুসলিম হলে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দক্ষিণ জেলার সকল নেতাকর্মীকে এক জোট থাকার আহবান জানিয়ে আরো বলেন, আখতারুজ্জামান বাবু সব সময় দক্ষিণ জেলাকে সংগঠিত করে আগলে রাখতেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আখতারুজ্জামান বাবুর আদর্শে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জামায়াতবিএনপির সব ধরনের সন্ত্রাসনৈরাজ্য প্রতিহত করতে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাবু ভাই যেমন দুর্দিনে কর্মীদের সংঘটিত করে দলকে শক্তিশালী করেছিলেন, তাঁর অনুপস্থিতিতেও দলকে শক্তিশালী করতে হবে। আন্দোলনসংগ্রামে যারা মাঠে থাকে তারাই প্রকৃত কর্মী। বাবু ভাই সব সময় মাঠে থাকতেন। তিনি একাধারে সফল রাজনীতিবিদ ও সফল ব্যবসায়ী। একই সাথে তিনি ছিলেন একজন দানবীর। তিনি নীরবে দান করতেন। অনেক লোকজনকে তিনি চাকুরি দিয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব। তিনি বলেন বিরোধী দলকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে হবে। যারা কোমলমতি শিশুকিশোরদের পরীক্ষার সময় হরতাল ডাকতে পারে তারা দেশের কল্যান চায়না। এই বিরোধী দল ২১ আগস্টের মতো বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র এনেছে, বিডিআর বিদ্রোহ ঘটিয়েছে।

শোক সভায় অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা সাবেক এমপি ইসহাক মিয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব সুলতানুল কবির চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এড. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সংসদ সদস্য চেমন আরা তৈয়ব, আওয়ামী লীগ নেতা এড. জসিমউদ্দিন আহমদ খান, আতাউল হক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, আলহাজ্ব আবুল কালাম চৌধুরী, এসএম আবুল কালাম, এমএ সাঈদ, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ মনোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল কাইয়ুম খান, অ্যাডভোকেট মির্জা কছিরউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জহির উদ্দিন, প্রদীপ দাশ, এড. আবদুর রশিদ, খোরশেদ আলম, নুরুল আবছার চৌধুরী, একেএম আবদুল মতিন চৌধুরী, এড. মুজিবুল হক, গোলাম ফারুক ডলার, এড. কামরুন্নাহার শওকত, আবদুল হান্নান মঞ্জু, শাহনেওয়াজ হায়দার শাহীন, বিজয় বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম, সৈয়দুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, নাসির আহমদ চেয়ারম্যান, সৈয়দ জামাল আহমদ, ছিদ্দিক আহমদ বিকম, এসএম জাহাঙ্গীর, বাহাউদ্দিন খালেক শাহজী, মোহাম্মদ আলী, কাজী মোজাম্মেল হক, বিজন চক্রবর্ত্তী, হায়দার আলী রণি, অধ্যাপক আবদুল গফুর, মাহবুবর রহমান শিবলী, একে আজাদ, শাহিদা আকতার জাহান, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী, সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী, কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জোবায়ের, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রেহেনা ফেরদৌস চৌধুরী, খালেদা আকতার চৌধুরী, ববিতা বড়ুয়া, স্বপ্না দত্ত প্রমুখ। স্মরণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এড. সুনীল সরকার, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামালউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা শওকত হোসেন, এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।

চিটাগাং চেম্বারের দোয়া ও মিলাদ

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান চৌধুরী’র ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চিটাগাং চেম্বার কার্যালয়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বাদ যোহর কোরআন খতম এবং বাদ আছর মিলাদ মাহফিলের পর মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ সময় চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালকবৃন্দ মাহফুজুল হক শাহ, এম. . মোতালেব, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), আলহাজ্ব মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবদুল মান্নান আল কাদেরী।

দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের শুরুতে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম আখতারুজ্জামান চৌধুরীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর অবদান অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, ১৯৮৫৮৮ সাল পর্যন্ত চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি থাকাকালে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ট্রেডবডি নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং অত্র অঞ্চলে ব্যবসাবাণিজ্যের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি পরবর্তীতে এফবিসিসিআই সভাপতি হিসেবে এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কার করেন। পরবর্তীতে ওআইসিভুক্ত ইসলামী দেশসমূহের চেম্বার, ৭৭ জাতি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র নেতৃত্ব দেন। তাছাড়া কর্মসংস্থান, শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রে আখতারুজ্জামান চৌধুরীকে কালের নায়ক আখ্যায়িত করে তাঁর এসব অবদান চিরদিন গভীর শ্রদ্ধার সাথে দেশ ও জাতি স্মরণ করবে বলে চেম্বার সভাপতি অভিমত প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ