শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি দুর্নীতি করতে নয়, মানুষের ভাগ্য গড়তেই দেশে ফিরে এসেছেন। রোববার (১ জানুয়ারি) পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাবা-মা ও পরিবার হারিয়ে এদেশে দুর্নীতি করতে ফিরে আসিনি। এদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি। সব হারিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে এসেছি; এটাই আমার লক্ষ্য। ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর আমাদের সরকারের একটি নীতিমালা ছিল – ব্যবসাবান্ধব নীতি গ্রহণ করা, সেটাই করেছি।’

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সব মিলিয়ে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিক মন্দা ঘোষণা করলেও বাংলাদেশ সে পথে যায়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। একটি টাকাও রিজার্ভ ছিল না সেই সময়, কোনো কারেন্সি ছিল না। সেই অবস্থা থেকে তিনি দেশকে গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন আমরা উন্নয়নশীল দেশ গড়তে পেরেছি, এটাই আমাদের অর্জন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে কৃষিপণ্য এবং খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে তুলতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিদ্যুৎ-গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে চাইলে খরচ দেয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের টাকায় এতো বেশি ভর্তুকি দিয়ে আর চালু রাখা সম্ভব নয়। টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। এছাড়া প্রবৃদ্ধি ও মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার তৈরির দিকে ব্যবসায়ীদের নজর দিতে হবে।

ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার আর বিনিয়োগ বাড়াতে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর সরকার জোর দিচ্ছে, একই সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে খাদ্যপ্রক্রিয়াজাত পণ্য রফতানিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, নজর দিতে হবে পণ্যের বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার তৈরির দিকে। ব্যবসা-বাণিজ্য আর টেকসই বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ধরনের নীতি সহায়তা দিচ্ছে সরকার বলেও জানান তিনি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে ৫-জি চালু করা হবে। শিল্প-কারখানা অর্থনৈতিক অঞ্চলে করতে হবে, বাইরে করলে কোনো সার্ভিস পাবেন না।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ