মঙ্গলবার, মে ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়সংস্কৃতি সেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে নিতে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী

সংস্কৃতি সেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে নিতে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সংস্কৃতি সেবাকে তৃণমূল পর্যায়ে নিতে চায় সরকার। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আমাদের সংস্কৃতির সেবাটা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে চাই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি; পাশাপাশি তাদের শিল্পীমনের বিকাশও যাতে হয় সেই পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। এসব জায়গায় দেশি-বিদেশি চিত্রকর্ম সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব কিছু সংস্কৃতি আছে সেটা যেন বিকশিত হয় সেই প্রচেষ্টাও আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব সংস্কৃতিমনা মানুষ পড়ে আছে তাদের সেই শিল্পমনন, জ্ঞান এবং সক্ষমতা সেটাও যাতে আমরা আমাদের দেশের মানুষের সামনে বিকশিত করতে পারি তার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, নাটক, চলচ্চিত্র এবং সৃজনশীলতা প্রকাশের উদ্যোগ আমাদের সরকার সবসময়ই গ্রহণ করেছে এবং উৎসাহিত করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর সরকার গঠন করার সুযোগ পায়। সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এই শিল্পকলা একাডেমি সুন্দরভাবে গড়ে ওঠে তার মাস্টার প্ল্যান তৈরি করি এবং সেখানে জাতীয় নাট্যশালা, এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার, স্টুডিও থিয়েটার, সংগীত নিত্যকলা মিলনায়তন, চারুকলা মিলনায়তন এবং নন্দন উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে।

আমরা শান্তি চাই, শান্তিতে বিশ্বাস করি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিকে করোনা মহামারি আরেকদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যেটা আসলে মানুষ খুব কষ্ট দিচ্ছে। আমি আশা করছি, মানুষের এই কষ্ট এবং যুদ্ধের যে ভয়াবহতা সেটাও শিল্পীর আঁচড়ে উঠে আসবে যাতে করে এই ধরনের যুদ্ধ যেন আর না হয়।

এবার প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ অংশ নিচ্ছে ১১৪টি দেশ। এতে ৪৯৩ জন শিল্পীর ৬৪৯টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন হবে। আসরে পুরস্কার দেয়া হবে ৩টি, পুরস্কারের মূল্য ৫ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট, ৬টি ৩ লাখ টাকার সম্মাননা পুরস্কার ও সার্টিফিকেট। এবারের প্রদর্শনী উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

সারা বিশ্বের সমকালীন শিল্পকলাকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পপ্রেমী দর্শক ও সংগ্রাহকদের সামনে তুলে ধরতেই দ্বিবার্ষিক ভিত্তিতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। দেশি-বিদেশি শিল্পীরা এসব শিল্পকর্মের মাধ্যমে তাদের সমকালীন চিন্তাভাবনাকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।

১৯৮১ সাল থেকে চার দশক ধরে বিরতিহীনভাবে আয়োজন করা হচ্ছে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসব ‘দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ’। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এই আন্তর্জাতিক চারুকলা উৎসবের আয়োজন করে আসছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ