সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদটপপুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নয়াপল্টন রণক্ষেত্র

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নয়াপল্টন রণক্ষেত্র

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক বন্ধ করে বিএনপি কর্মীদের অবস্থান থেকে সরাতে গিয়ে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় বিএনপির নেতাকর্মীদের। ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে চলমান রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। থেমে থেমে সংঘর্ষের ঘটনা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ সিনিয়র কয়েকজন নেতা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন। অফিসের নিচে অবস্থান করছিলেন নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয় কার্যালয়ের সামনে। এরপর ৩টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে ঠিক কী নিয়ে সংঘর্ষের শুরু তা জানা যায়নি।

সরেজমিনে থাকা একাধিক সংবাদকর্মী জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় বিএনপির সমর্থকরা ইটপাটকেল ছোড়ে। জবাবে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত ও একজন পুলিশ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে দুপুর ১২টার নয়াপল্টন এলাকায় একাধিক সাঁজোয়া যান, প্রিজন ভ্যান এবং অতিরিক্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কতজন আহত হয়েছেন।

বুধবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সাংবাদিকদের বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত নিরীহ নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। যতই হামলা করা হোক আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।

 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ