শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদটপবিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হার্ডলাইনে সরকার-বিএনপি

বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হার্ডলাইনে সরকার-বিএনপি

ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত দেশের রাজনীতির মাঠ। সমাবেশের স্থান নিয়ে এই উত্তেজনা আরও বাড়ছে। বিএনপি বলছে, তারা নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে, অনুমতি না পেলেও করবে। অন্যদিকে সরকারের বক্তব্য, বিএনপিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই সমাবেশ করতে হবে। এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজনীতিতে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।

সারা দেশে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শেষ পর্যায়ে। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে। নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করেছে বিএনপি। যদিও ডিএমপি এখনো কিছুই জানায়নি। তবে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বিএনপি কিছু শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের অনুমতি পাবে। তাদের সর্বশেষ দাবি ছিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ চায়। আমাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা কমিশনারকে বলে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশনা তাই।’

তবে বিএনপি নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। তাদের কথা, বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চায়নি। তারা নয়াপল্টনের জন্য অনুমতি চেয়েছেন এবং সেখানেই সমাবেশ করার বিষয়ে অনড় দলের হাইকমান্ড। গত শনিবার কুমিল্লার গণসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নয়, নয়াপল্টনে হবে। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি নিয়ম মেনে সমাবেশের আবেদন করেছে। কিন্তু সরকার এখনো সমাবেশের স্থান দেয়নি। এটা তাদেরই দায়িত্ব। আমাদের কথা পরিষ্কার—আমরা ১০ বিভাগীয় শহরে যে সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিলাম, তার শেষ সমাবেশটা হবে ঢাকায়।

বিএনপির নেতারা বলছেন, ডিসেম্বরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। এ উপলক্ষে সেখানে বিশাল মঞ্চ তৈরিসহ ব্যাপক সাজসজ্জা করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বড় সমাবেশ হয়েছে। তখন সেখানে বিশাল আকারের মঞ্চ তৈরি  করা হয়। সেই মঞ্চেই একের পর এক আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচি বা জাতীয় সম্মেলন চলছে। গত ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগের সম্মেলনও হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর হবে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। মাঝে ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন ছাড়াও ৯ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাবেশ ও ১৫ ডিসেম্বর যুব মহিলা লীগের সম্মেলন হবে। সুতরাং এ অবস্থায় ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে বলাটা ষড়যন্ত্র ও দুরভিসন্ধিমূলক। এতে সংঘাতের আশঙ্কাও দেখছেন বিএনপির নেতারা।

এদিকে আজ সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের স্থান নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। দলটির নেতাদের প্রত্যাশা, সরকার যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত এসেছে, নয়া পল্টনেও আসবে।

গত ১৫ নভেম্বর ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বরাবর ঢাকার গণসমাবেশের বিষয়ে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে বিএনপির ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে তার অফিসে বৈঠক করেন। সেদিন ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা বিএনপির লিখিত দরখাস্ত পেয়েছি। সেটি বিবেচনা করে দেখব, অনুমতি দেওয়া যায় কিনা। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখব, কোনো ধরনের ঝুঁকি রয়েছে কিনা।’

চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলায় নূরে আলম ও আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সীগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিমসহ মোট ৫ জন হত্যার প্রতিবাদে, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সারা দেশে বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি। গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পলোগ্রাউন্ড মাঠ থেকে গণসমাবেশ শুরু করে দলটি। ইতোমধ্যে নানা বাধা ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট ও গত শনিবার কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। আগামী শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে গণসমাবেশ।

ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, দলের মহাসচিব ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেবেন। আমরা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। কোনো টালবাহানা সহ্য করা হবে না।

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেন, এ নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে বিস্তারিত বলেছি। তারা বিকল্প জায়গার নাম চেয়েছিলেন। আমরা একটা স্থানের কথা বলেছি এবং সেটা নয়াপল্টন। এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেবেন। আসলে তারা চাচ্ছে পরিস্থিতি সাংঘর্ষিক হোক। কিন্তু বিএনপি সেখানে যাবে না। আমরা নয়াপল্টনেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। এটাই ফাইনাল।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. আমিনুল হক বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা অনটাইম অন ডেট এবং অন স্পট ঢাকায় সমাবেশ করব ইনশাআল্লাহ।

জানতে চাইলে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করতে জেলা নেতাদের নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা, মহানগর ও ইউনিট কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে একই নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা জানান, বিএনপি বারবার দাবি করেছে, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায়। সেজন্য এবার বিএনপিকে উদ্যানেই সমাবেশের অনুমতি দিতে চায় সরকার। বিএনপি ভেবেছিল সরকারি দল তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দিতে চায় না, সেজন্যই ডিসেম্বরজুড়ে সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন রেখেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বারবার বলেছে, তারা তাদের মতো সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোনো পাল্টা কর্মসূচিতে তারা বিশ্বাস করে না। কোনো সংঘাত ক্ষমতাসীন দল চায় না। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বারবার বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এমনকি বিএনপির সঙ্গে কোন সংঘাতে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজ দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ার করেছেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন থাকায় বিএনপির সমাবেশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, বিএনপির এরকম যুক্তির প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে সরকার কোনো বাধা দেবে না। তবে আগুন ও লাঠি নিয়ে খেলতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি যেন সুষ্ঠুভাবে সমাবেশ করতে পারে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন দুদিন এগিয়ে ৬ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেন, বিএনপির কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় না সরকারি দল। রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে শুধু ছাত্রলীগের সম্মেলন পিছিয়েছে, তা নয়। এর আগে কুমিল্লাতে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ২৬ নভেম্বর ও বিএনপির সমাবেশ একই দিনে হওয়ায় আওয়ামী লীগ সম্মেলন পিছিয়ে দিয়েছে। বিএনপির রংপুর সমাবেশের আগের দিন ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও সরকারি দল ছাত্রলীগের সেই সমাবেশ বন্ধ করতে নির্দেশনা দেয়। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের সম্মেলনসহ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখে, যেন বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, তাদের দলের সম্মেলন নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য এই ডিসেম্বরে সম্মেলন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর সামনের বছর যেহেতু নির্বাচনের বছর, তখন নতুন করে কোনো সংগঠনের সম্মেলন করার সময় পাওয়া যাবে না। তাই মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন করা হচ্ছে।

বিগত ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, রংপুর, সিলেট, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশের উদাহরণ টেনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, পুলিশ যেহেতু বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে, সেহেতু তাদের মঞ্চ তৈরি করতে হবে। আর ছাত্রলীগের সম্মেলন মঞ্চ সরাতেও কয়েকদিন সময় লাগবে। তাই সম্মেলন দুদিন এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি বলেন, বিএনপি এতগুলো সমাবেশ করেছে, কোথাও আওয়ামী লীগ সামান্য বাধাও দেয়নি। কিন্তু বিএনপি মুখে বলে লাখো লোক সমাবেশে আসবে, কিন্তু লোকসংখ্যা কয়েক হাজারেই সীমাবদ্ধ থাকছে। এই ভয়েই তারা সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করতে চায় না।

বিএনপির বিগত বিভাগীয় সমাবেশের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একাধিকবার প্রকাশ্যে বলেছেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটে তার দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বেসরকারি মালিকরা ধর্মঘট ডাকলে তাদের কিছু করার নেই। এমনকি পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোতে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের লোকজনও নেতৃত্বে আছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, নানা কারণেই এমনিতে রাজধানীজুড়ে যানজট লেগে আছে। এরপরও নয়াপল্টনের মতো কোনো গুরুত্বপূর্ণ সড়কে মহাসমাবেশ হলে মানুষ মহাভোগান্তিতে পড়বে। পুলিশ তা হতে দিতে চায় না। তা ছাড়া কোথায়ও সমাবেশের বা গণজমায়েতের বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার আগে পুলিশ ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নেয়। সার্বিক বিবেচনায় নয়াপল্টনে সমাবেশের বিষয়ে অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই।

ওই কর্মকর্তা বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরকারি দলসহ নানা সংগঠন সভা-সমাবেশ করে আসছে। সেখানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে পুলিশের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করেই বিএনপির সমাবেশের জন্য ওই স্থান বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান গতকাল রোববার বলেন, ‘বিএনপিকে আমাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছি। তাদের বলা হয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য। তখন বিএনপির নেতারা বলেছেন, এ বিষয়ে তারা পরে জানাবেন। এখনো তো তারা কিছু জানায়নি। এ নিয়ে কোথায় কে কী বলেছে, তা তিনি জানেন না। পুলিশ আগের অবস্থানেই রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ